বসুন্ধরা, ঢাকা

আপডেট: ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭:০৫ পিএম
নামান্তরে:
বসুন্ধরা ঢাকা
বসুন্ধরা, ঢাকা

ঢাকার বসুন্ধরা সিটি: দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শপিং মল

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পান্থপথে অবস্থিত বসুন্ধরা সিটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শপিং মল হিসেবে পরিচিত। বসুন্ধরা গ্রুপ কর্তৃক নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি ১৯৯৮ সালে নির্মাণ কাজ শুরু করে এবং ২০০৪ সালের ৬ই আগস্ট জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। আধুনিক স্থাপত্য নকশায় নির্মিত ২১ তলা বিশিষ্ট এই ভবনের নিচের ৮টি তলা শপিং মল হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এবং বাকি ১৩টি তলা বসুন্ধরা গ্রুপের দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

বসুন্ধরা সিটির বৈশিষ্ট্য:

  • বিশাল আয়তন: প্রায় ২,৫০০ টির বেশি দোকান, বিভিন্ন ফুড কোর্ট, একটি মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল, জিম, থিম পার্ক, শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র, নামাজের জন্য আলাদা স্থান, রেস্তোরাঁ, টয়লেট এবং কার পার্কিং সুবিধা।
  • আধুনিক সুযোগ-সুবিধা: সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ এবং একটি সুন্দর ছাদ বাগান।
  • জনপ্রিয়তা: প্রতিদিন প্রায় ২৫,০০০ জন দর্শনার্থী বসুন্ধরা সিটি পরিদর্শন করে।
  • স্থাপত্য: মুস্তাফা খালিদ পলাশ এবং মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ নামক দুইজন প্রধান স্থপতি এর নকশা করেছিলেন।
  • অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা: ২০০৯ সালের ১৩ই মার্চ এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয় বসুন্ধরা সিটি। ১৩ থেকে ১৮ তলা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ৭ জন নিহত হয়।

অবস্থান:

বসুন্ধরা সিটি ঢাকার পান্থপথে, কাওরান বাজারের কাছে অবস্থিত।

সময়সূচী:

সপ্তাহের মঙ্গলবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

বসুন্ধরা সিটি ঢাকার অর্থনীতি ও আধুনিকায়নের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি শুধুমাত্র একটি শপিং মল নয়, বরং ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য এবং ব্যবসায়িক কেন্দ্র।

মূল তথ্যাবলী:

  • বসুন্ধরা সিটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শপিং মল
  • ২০০৪ সালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত
  • ২১ তলা ভবন, ৮ তলা শপিং মল, ১৩ তলা বসুন্ধরা গ্রুপের অফিস
  • প্রতিদিন প্রায় ২৫,০০০ দর্শনার্থী
  • মুস্তাফা খালিদ পলাশ ও মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ - প্রধান স্থপতি
  • ২০০৯ সালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছিল

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।