বরগুনা সদর উপজেলা: বাংলাদেশের বরগুনা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। এটি উত্তরে বেতাগী উপজেলা, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা ও পটুয়াখালী সদর উপজেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও আমতলী উপজেলা, পূর্বে আমতলী উপজেলা এবং পশ্চিমে পাথরঘাটা উপজেলা ও বামনা উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত। ১৯৮২ সালে বরগুনা সদর থানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয় এবং একই সাথে এটি পৌরসভার মর্যাদা লাভ করে। উপজেলাটি ১০টি ইউনিয়ন, ৬২টি মৌজা এবং ১৯৯টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। বর্তমানে এখানে ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে এবং সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম বরগুনা সদর থানার আওতাধীন।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, বরগুনা সদর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ছিল ২,৬১,৩৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,২৮,৫৮০ জন এবং মহিলা ১,৩২,৭৬৩ জন। মোট পরিবারের সংখ্যা ছিল ৬২,৫৩৭ টি। একই আদমশুমারি অনুযায়ী, উপজেলার সাক্ষরতার হার ছিল ৫৮.৬%। বরগুনা জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি কাজ এবং মাছ ধরা কাজের উপর নির্ভরশীল। উপজেলায় ১টি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন রয়েছে।
১৯০৪ সালে বরগুনায় একটি থানা (পুলিশ চৌকির সদর দফতর) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়, বরগুনা শহরে অনেক মানুষ এবং পিছু হটার সময় বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা নিহত হন। ২৯ ও ৩০ নভেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী বরগুনা কারাগারে ১০০ জন বন্দিকে হত্যা করে এবং কারাগারের পশ্চিমে তাদেরকে গণকবরে সমাহিত করে। ৩ ডিসেম্বর বরগুনা মুক্ত হয়। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের বিকেন্দ্রীকরণ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বরগুনা সদর থানার মর্যাদা উন্নীত করে উপজেলা করা হয়।