দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ২০১৩ সালে ভারত ও বাংলাদেশ একটি বন্দি বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা ২০১৬ সালে সংশোধিত হয়। এই চুক্তির মূল লক্ষ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে পলাতক আসামিদের দ্রুত ও সহজে হস্তান্তর করা। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এবং জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যদের ভারতে আশ্রয় নেওয়ার প্রেক্ষাপটে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১৫ সালে এই চুক্তির মাধ্যমে ভারত ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) শীর্ষ নেতা অনুপ চেটিয়াকে বাংলাদেশ থেকে প্রত্যর্পণ করতে সক্ষম হয়। চুক্তি অনুযায়ী, এক বছরের বেশি কারাদণ্ডযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণ সম্ভব, এবং অপরাধটি উভয় দেশেই অপরাধ হতে হবে। তবে, রাজনৈতিক প্রকৃতির অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণ বাতিল করা যায়। এই চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ সরকার। তবে, ভারতীয় বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের চুক্তিতে নানা ফাঁকফোকর থাকে, যা কাজে লাগিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি করে বছরের পর বছর প্রক্রিয়াটি ঝুলিয়ে রাখা সম্ভব। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ভারত সরকারের ইচ্ছাশক্তিই মূল বিষয় বলে মনে করছেন অনেকে। এছাড়াও, ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারির মাধ্যমেও শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু এর সফলতাও নিশ্চিত নয়। কারণ, রাজনৈতিক কারণে ইন্টারপোলের আবেদনও প্রত্যাখ্যান করা যায়।
বন্দি বিনিময় চুক্তি
মূল তথ্যাবলী:
- ২০১৩ সালে ভারত ও বাংলাদেশ বন্দি বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর করে।
- ২০১৬ সালে চুক্তিটি সংশোধিত হয়।
- চুক্তির লক্ষ্য দুই দেশের পলাতক আসামিদের দ্রুত বিনিময়।
- শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ ভারতের কাছে আবেদন করেছে।
- চুক্তির ফাঁকফোকর ও রাজনৈতিক বিবেচনা প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে পারে।
গণমাধ্যমে - বন্দি বিনিময় চুক্তি
১ জানুয়ারী ২০১৩, ৬:০০ এএম
বন্দি বিনিময় চুক্তি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত বন্দি বিনিময় চুক্তি এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
২০১৩
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।