বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক: বাংলাদেশের গাজীপুরে অবস্থিত একটি বিশাল সাফারি পার্ক, যা এর আগে গাজীপুর সাফারি পার্ক নামে পরিচিত ছিল। প্রায় ৩৮১০ একর শাল বনে বিস্তৃত এই পার্কটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম সাফারি পার্কগুলির মধ্যে একটি। ২০১০ সালে ৬৩.৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয় এবং ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক নামে এর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পার্কটি থাইল্যান্ডের সাফারি ওয়ার্ল্ড এবং ইন্দোনেশিয়ার বালি সাফারি পার্কের নকশা অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। এখানে দেশী-বিদেশী নানা প্রজাতির প্রাণী রয়েছে, যেমন বাঘ, সিংহ, হাতি, জলহস্তী, নীলগাই, হরিণ, বানর, কুমির, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ইত্যাদি। পর্যটকরা সাফারি গাড়িতে করে বা পায়ে হেঁটে পার্কটি ঘুরে দেখতে পারেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পার্কটি ভাঙচুরের শিকার হয় এবং ৩ মাস ১১ দিন বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে সংস্কারের পর ১৫ নভেম্বর ২০২৪ সালে পার্কটি "গাজীপুর সাফারি পার্ক" নামে পুনরায় উদ্বোধন করা হয়। পার্কটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কাছে, বাঘের বাজার থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। পার্ক প্রবেশের জন্য বিভিন্ন ধরনের টিকিটের ব্যবস্থা রয়েছে, যা বাংলাদেশী ও বিদেশী দর্শনার্থীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
মূল তথ্যাবলী:
- ৩৮১০ একর জুড়ে বিস্তৃত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম সাফারি পার্ক
- থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার সাফারি পার্কের নকশা অনুসরণ
- বাঘ, সিংহ, হাতি, জলহস্তীসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী
- ২০২৪ সালের আন্দোলনের পর নাম পরিবর্তন ও পুনরুদ্ধার
- ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত
গণমাধ্যমে - বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম
একনেক সভায় প্রকল্পটি বাতিল করা হয়।
মৌলভীবাজারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল হয়েছে।