বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: উত্তরবঙ্গের একটি অগ্রণী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান
৫ নভেম্বর ১৯৯২ সালে যাত্রা শুরু করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের চিকিৎসা শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবায় ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। ৪০ একর জমির উপর অবস্থিত আধুনিক একাডেমিক ভবন ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন একটি বহুতল বিশিষ্ট শিক্ষণ হাসপাতাল রয়েছে এই কলেজে।
এমবিবিএস ডিগ্রি লাভের ক্ষেত্রে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (পূর্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) সাথে এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রির ক্ষেত্রে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এই কলেজটি অনুমোদিত। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (BM&DC) বিধি অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানটি পাঠ্যক্রম ও শিক্ষাক্রম পরিচালনা করে।
কলেজ ভবনে প্রাক-ক্লিনিক্যাল ও প্যারা-ক্লিনিক্যাল বিভাগ এবং হাসপাতাল ভবনে ক্লিনিক্যাল বিভাগ অবস্থিত। কলেজ ভবনে রয়েছে চারটি বৃহৎ গ্যালারি (যার মধ্যে ১ নম্বর গ্যালারি সমিয়া ইসলাম গ্যালারি নামে পরিচিত), টিউটোরিয়াল ক্লাসরুম, ডিসেকশন হল, ব্যবহারিক ক্লাসরুম, ল্যাবরেটরি, জাদুঘর, মেডিকেল শিক্ষা ইউনিট, মেডিকেল দক্ষতা কেন্দ্র, ময়নাতদন্তের মর্গ, সেমিনার রুম, এয়ার কন্ডিশন্ড গ্রন্থাগার এবং কম্পিউটার ল্যাব। হাসপাতাল ভবনেও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাসরুম, সেমিনার রুম এবং লাইব্রেরী রয়েছে।
ক্যাম্পাসে নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেন্টার, অডিটোরিয়াম, ছেলে ও মেয়েদের ডরমিটরি, অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, মধ্যবর্তী চিকিৎসক, নার্সিং কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কোয়ার্টার রয়েছে। প্রিন্সিপাল ও হাসপাতাল পরিচালকের জন্য বছরব্যাপী আবাসিক ব্যবস্থাও রয়েছে।
বর্তমানে এমবিবিএস এবং স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। প্রতি বছর ২০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি রয়েছে। স্নাতক কোর্সে প্রায় ৮৬০ জন স্থানীয় ও ১৩ জন বিদেশি শিক্ষার্থী এবং স্নাতকোত্তর কোর্সে প্রায় ৬৬ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। হাজারো প্রাসঙ্গিক চিকিৎসা বই এবং অনেক বিদেশি জার্নাল সহ একটি বিশাল গ্রন্থাগার রয়েছে।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এই অঞ্চলের জন্য এবং জাতীয় পর্যায়ে একটি উৎকর্ষতার কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।