প্রত্যর্পণ চুক্তি

প্রত্যর্পণ চুক্তি ও শেখ হাসিনা: ভারতের প্রতিক্রিয়া

১৯৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর, তিনি ভারতে পালিয়ে যান এবং ৫ আগস্ট থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, যার কারণে বাংলাদেশ তাকে বিচারের জন্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশ সরকার ২৩ ডিসেম্বর ভারতকে একটি কূটনৈতিক পত্র পাঠিয়ে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ করে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন, কিন্তু এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত মহেশ সাচদেব মন্তব্য করেছেন যে, শেখ হাসিনা আইনি সহায়তার মাধ্যমে প্রত্যর্পণের বিরোধিতা করতে পারেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ইউরোপীয় দেশগুলি বিভিন্ন শর্তে ভারতের প্রত্যর্পণ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে, এবং শেখ হাসিনাও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। তিনি দেশের সরকারের প্রতি অবিশ্বাস ও অবিচারের আশঙ্কা ব্যক্ত করতে পারেন। সাচদেব আরও উল্লেখ করেছেন যে, ভারত-বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ চুক্তিতে বিভিন্ন শর্ত রয়েছে যা রাজনৈতিক প্রকৃতির অপরাধের ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণ নাকচ করার অনুমতি দেয়। তিনি ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা ও জেলের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত হয় এবং ২০১৬ সালে সংশোধিত হয়। মহেশ সাচদেব উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের অনেকেই মনে করেন যে, শেখ হাসিনার দ্রুত প্রত্যর্পণ হবে না, কারণ এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি আরও জানান যে, ভারত-বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে যোগাযোগ রাখছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশ ভারতের কাছে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে।
  • ভারত চিঠি পেয়েছে কিন্তু এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
  • শেখ হাসিনা আইনি সহায়তা নিয়ে প্রত্যর্পণ প্রতিরোধ করতে পারেন।
  • ভারত-বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক অপরাধের ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণ হয় না।

গণমাধ্যমে - প্রত্যর্পণ চুক্তি

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, যা রাজনৈতিক অপরাধের ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণ নাকচ করার অনুমতি দেয়।

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে।