প্যালেস্টাইন

ফিলিস্তিন: একটি দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস

ফিলিস্তিন, আরবি ভাষায় فلسطين (ফিলাস্‌তীন), আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র (আরবি: دولة فلسطين, দাউলাত্ ফিলাস্‌তীন) নামে পরিচিত, মধ্যপ্রাচ্যের একটি নির্বাসিত রাষ্ট্র। ১৫ নভেম্বর ১৯৮৮ সালে আলজিয়ার্সে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) এবং প্যালেস্টাইন জাতীয় পরিষদ (পিএনসি) একপাক্ষিকভাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। তবে, ১৯৪৭ সালের জাতিসংঘের বিভাগ প্রস্তাব অনুযায়ী, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের (গাজা ও পশ্চিম তীর) বাইরেও ইসরায়েলের কিছু অঞ্চল এবং জেরুজালেমকে তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দাবি করে।

১৯১৭ সালের বেলফোর ঘোষণা ফিলিস্তিনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের সাথে সহযোগিতার বিনিময়ে ফিলিস্তিনে একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এই ঘোষণা আরবদের মধ্যে অবিশ্বাস সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে সংঘাতের সূচনা করে।

১৯২০ সালে, জাতিসংঘ ব্রিটেনকে ম্যান্ডেটরি প্যালেস্টাইন শাসনের দায়িত্ব দেয়। এই সময়, ইহুদিদের ব্যাপক ভাবে ফিলিস্তিনে আগমন শুরু হয় (আলিয়াহ)। এই আগমন এবং ফিলিস্তিনীদের উৎখাত ইসরাইল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

১৯৪৭ সালের জাতিসংঘের বিভাগ প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে দুটি রাষ্ট্রে ভাগ করা হলেও, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং এর পরের আরব-ইসরাইল যুদ্ধ ফিলিস্তিনীদের ব্যাপক ভাবে বাস্তুচ্যুত করে এবং বিতাড়িত করে।

আজকের ফিলিস্তিন দুটি মূল অংশে বিভক্ত: গাজা পট্টি ও পশ্চিম তীর। ইসরাইলের অবরোধ গাজা পট্টির অর্থনীতি এবং জনজীবনে গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। পশ্চিম তীরেও, ইসরাইলি বসতি স্থাপন এবং সামরিক উপস্থিতি ফিলিস্তিনীদের জীবনে সীমাবদ্ধতা আনে।

ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। শান্তি প্রক্রিয়ার বিভিন্ন চেষ্টা সত্ত্বেও, এই সংঘাত দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে এবং এর সমাধান এখনো দেখা যায়নি।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯১৭ সালে বেলফোর ঘোষণা ফিলিস্তিনে ইহুদি রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
  • ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্রের সৃষ্টি ফিলিস্তিনীদের জন্য বিপর্যয় নিয়ে এসেছিল।
  • গাজা পট্টি এবং পশ্চিম তীর বর্তমানে ফিলিস্তিনের দুটি মূল অংশ।
  • ইসরাইলের অবরোধ ও বসতি স্থাপন ফিলিস্তিনীদের জীবনে প্রভাব ফেলেছে।
  • ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত।

গণমাধ্যমে - প্যালেস্টাইন

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে

ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত ও আহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মিশরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে, পিএলও'র হুসেইন আল শেখ এবং মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন নিশ্চিত করা হয়।

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাত করেছেন।