পোর্তো: বহুমুখী পরিচয়ের একটি নগর
"পোর্তো" শব্দটি একক নয়, বরং একাধিক স্থান ও প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ করতে পারে। এই লেখায় আমরা পোর্তোর বিভিন্ন পরিচয় নিয়ে আলোচনা করবো।
১. পোর্তু আলেগ্রি, ব্রাজিল: ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত রিও গ্র্যান্ডে দো সুল রাজ্যের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর হলো পোর্তু আলেগ্রি। ২০২০ সালের হিসেবে এখানে প্রায় ১৪,৮৮,২৫২ জন বাসিন্দা বসবাস করে। এটি ব্রাজিলের ১২তম জনবহুল শহর এবং ৪৪,০৫,৭৬০ জন বাসিন্দা (২০১০) সহ দেশের ৫ম বৃহত্তম মহানগর অঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দু। ১৭৬৯ সালে ম্যানুয়েল জর্জ গোমেস দি সেপুলভেদা (ছদ্মনাম: জোসে মার্সেলিনো দি ফিগুয়েরেডো) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হলেও, আনুষ্ঠানিকভাবে এর প্রতিষ্ঠার বছর ১৭৭২। গুয়াইবা হ্রদের তীরে অবস্থিত পোর্তু আলেগ্রি, পাঁচটি নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর। বিশ্ব সামাজিক ফোরামের আয়োজন, অংশগ্রহণমূলক বাজেট বাস্তবায়ন এবং বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত সফটওয়্যার অনুষ্ঠান FISL এর আয়োজনের মাধ্যমে এটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছে।
২. পোর্তো, পর্তুগাল: ইউরোপের পর্তুগালের একটি ঐতিহাসিক ও প্রধান শহর হলো পোর্তো। ডোরো নদীর তীরে অবস্থিত পোর্তো, তার ঐতিহাসিক ওল্ড টাউন, পোর্ট ওয়াইন উৎপাদন, এবং পন্তে দে দম লুইস সহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত। সাও বেন্তো রেলস্টেশন পোর্তোর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী। এখানে প্রবাসী বাংলাদেশীদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বসবাস করে।
বলদাসারে পোর্তো: ইতালীয় স্প্রিন্টার, যিনি ১৯৫২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
এই লেখায় প্রদত্ত তথ্য সীমিত হলেও পোর্তোর বিভিন্ন দিক নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আশা করি এটি পাঠকদের জন্য উপযোগী হবে। ভবিষ্যতে আরও তথ্য প্রাপ্ত হলে এই লেখা আপডেট করা হবে।