পার্লামেন্ট ভবন

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৪:৫০ পিএম

জাতীয় সংসদ ভবন: বাংলাদেশের গর্বের প্রতীক

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবন দেশের গর্ব ও স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পার্লামেন্ট ভবনগুলির মধ্যেও এর স্থাপত্যশৈলী ও কাঠামো অনন্য। এই ভবনটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের আইন প্রণয়নের কেন্দ্র নয়, বরং দেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্যেরও প্রতীক।

ইতিহাস ও নির্মাণ:

১৯৫৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ঢাকাকে দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে শেরেবাংলা নগরে একটি আধুনিক সংসদ ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করে। বিখ্যাত মার্কিন স্থপতি লুই আই কানকে এই ভবনের নকশার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৬২ সালে তিনি নকশা সম্পন্ন করেন। ১৯৬৪ সালে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ফলে কিছুকালের জন্য কাজ বন্ধ হলেও ১৯৭৪ সালে পুনরায় কাজ শুরু হয়। ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারী তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার ভবনটির উদ্বোধন করেন।

স্থাপত্য:

লুই আই কানের নকশা অনুসারে নির্মিত এই ভবনের স্থাপত্য শৈলী অনন্য। মূল ভবন কমপ্লেক্স নয়টি পৃথক ব্লকে বিভক্ত। মাঝের অষ্টভুজাকার ব্লকটি সবচেয়ে উঁচু। ভবনের মূল অংশ হলো ৩৫৪ আসন বিশিষ্ট অধিবেশন কক্ষ। কৃত্রিম লেক, সুন্দর বাগান, এবং ইউক্যালিপটাস গাছের সারি ভবনের চারপাশকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। ভবনের ভেতর প্রাকৃতিক আলোর ব্যবহার স্থাপত্যের আরেকটি বিশেষ দিক।

গুরুত্ব:

জাতীয় সংসদ ভবন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি দেশের গণতন্ত্রের প্রতীক। বিশ্বের বিভিন্ন স্থাপত্য পত্রিকায় এটি আলোচিত হয়েছে এবং আগা খান স্থাপত্য পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছে।

দর্শন:

জাতীয় সংসদ ভবনের চারপাশের পার্ক ও খোলা স্থানে ঘুরে দেখা বিনামূল্যে। মূল ভবনে প্রবেশাধিকার সীমিত।

আরও তথ্য:

আমরা এই নিবন্ধটি আরও সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করছি। আরও তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আপনাকে অবগত করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৫৯ সালে নির্মাণ পরিকল্পনা গৃহীত হয়।
  • বিখ্যাত মার্কিন স্থপতি লুই আই কান এর নকশা।
  • ১৯৮২ সালে উদ্বোধন।
  • অনন্য স্থাপত্যশৈলী ও কাঠামো।
  • বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।