পানিতে ডুবে মৃত্যু

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ এএম

বাংলাদেশে পানিতে ডুবে মৃত্যু একটি ব্যাপক জনস্বাস্থ্য সমস্যা, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে। প্রতিবছর হাজার হাজার শিশু পানিতে ডুবে প্রাণ হারায়। এই মর্মান্তিক ঘটনাগুলো প্রায়শই ঘটে বাড়ির আশেপাশে পুকুর, খাল, নদী, এবং এমনকি বাথটব বা বালতিতেও। বিভিন্ন গবেষণা ও জরিপে দেখা গেছে, এক থেকে চার বছর বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। বিশেষ করে বর্ষাকালে, যখন মা-বাবারা কাজে ব্যস্ত থাকেন, এই সময় শিশুরা অযত্ন অবস্থায় পানিতে পড়ে যায়।

সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফের মতো সংগঠনগুলো এই সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং সচেতনতার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে, শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন, সাঁতার প্রশিক্ষণ এবং পানি নিরাপত্তা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি।

তবে, পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা কমিয়ে আনার জন্য শুধুমাত্র সরকারী প্রচেষ্টাই পর্যাপ্ত নয়। প্রতিটি পরিবার, প্রতিটি সমাজকেই এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শিশুদের পানির কাছে যাওয়ার সময় তাদের সতর্ক তাগিদ দেওয়া এবং অবস্থান দেখা প্রয়োজন।

২০১৩ সালে বিশ্বে প্রায় চার লাখ মানুষ পানিতে ডুবে মারা গেছে, যার ৮২ হাজারই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু। বাংলাদেশে এই সংখ্যা প্রতিবছর প্রায় ১৭ হাজার । প্রতিদিন প্রায় ৪৬ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এই মৃত্যু প্রতিরোধ যোগ্য, কিন্তু সঠিক উদ্যোগ এবং সচেতনতা অপরিহার্য। আমরা আশা করি সামনে আরও তথ্য উপলব্ধ হলে এই লেখাটি আরও বিস্তারিত করা সম্ভব হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • প্রতিবছর হাজার হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।
  • এক থেকে চার বছর বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে।
  • পানি নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরী।
  • সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - পানিতে ডুবে মৃত্যু

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

দুই শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে মারা গেছে।

২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

জামালপুরের ছনকান্দায় ব্রহ্মপুত্র নদে তিনজন স্কুলছাত্র পানিতে ডুবে মারা গেছে।

৭ জানুয়ারী ২০২৫

মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ীতে পুকুরে ডুবে দুই শিশু মারা গেছে।