নোমান গ্রুপ: বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের এক আলোকিত নাম
নোমান গ্রুপ বাংলাদেশের বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের একটি বৃহৎ ও সফল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। প্রায় পাঁচ দশক ধরে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে এ প্রতিষ্ঠান। বিশ্বমানের মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন ও রফতানির মাধ্যমে নোমান গ্রুপ আন্তর্জাতিক বাজারে নিজের এক অনন্য স্থান করে নিয়েছে।
প্রতিষ্ঠা ও প্রারম্ভিক যাত্রা:
১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত নোমান গ্রুপের যাত্রা শুরু হয় মোহাম্মদ নূরুল ইসলামের সাহসী উদ্যোগের মধ্য দিয়ে। তিনি একজন ছোট ব্যবসায়ী হিসেবে যাত্রা শুরু করে ধীরে ধীরে সফল শিল্পপতির অবস্থানে পৌঁছান। ১৯৮৭ সালে 'নোমান গ্রুপ' নামে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
কার্যক্রম ও উৎপাদন:
নোমান গ্রুপ সুতা, কাপড়, হোম টেক্সটাইল, বিছানার কভার, পর্দা, লেপ কভার, ডেনিম এবং তোয়ালে উৎপাদন করে। এছাড়াও তাদের বিভিন্ন ধরণের গার্মেন্টস তৈরির কারখানা রয়েছে। গ্রুপের অধীনে অনেকগুলো সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ও রফতানি করে থাকে।
গ্রাহক ও রফতানি:
নোমান গ্রুপ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের পণ্য রপ্তানি করে। আইকেইএ, টার্গেট কর্পোরেশন, জিএপি ইনকর্পোরেটেড, ওয়ালমার্ট, নাইকি, জারা, ম্যাঙ্গো, ইউনিক্লোসহ বিশ্বের অনেক নামীদামী কোম্পানির সাথে তাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। বার্ষিক প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি পণ্য রপ্তানি করে নোমান গ্রুপ।
কর্মসংস্থান ও সামাজিক দায়বদ্ধতা:
নোমান গ্রুপ প্রায় ৭০,০০০ এর বেশি মানুষকে কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকে। পরিবেশ সংরক্ষণেও নোমান গ্রুপের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
পুরষ্কার ও স্বীকৃতি:
নোমান গ্রুপ এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো বহুবার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে, যার মধ্যে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি, এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড এবং রাষ্ট্রপতি শিল্প পদক উল্লেখযোগ্য।
প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ:
নোমান গ্রুপ বিভিন্ন সময়ে কিছু প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। তবে তারা এসব প্রতিকূলতাকে সামনে রেখে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য: এই প্রতিবেদনে নোমান গ্রুপ সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য তথ্য প্রদান করা হয়েছে, তবে অতিরিক্ত তথ্য যোগাযোগের জন্য আমরা আপনাদের সাথে পরবর্তীতে যোগাযোগ করব।