উপরোক্ত তথ্য অনুসারে, নীলুফার আজাদ নামে একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ রয়েছে। প্রদত্ত তথ্য থেকে দুইজন নীলুফারের কথা জানা যায়। একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ নীলুফার জহুর এবং অপরজন বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী নীলুফার ইয়াসমিন।
নীলুফার জহুর: চট্টগ্রামের একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ছিলেন অধ্যক্ষ নীলুফার জহুর। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনি সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। গল্প, উপন্যাস, নাটক, নিবন্ধ ও সমালোচনা লিখেছেন। ১৯৮৬ সাল থেকে কাব্যচর্চায়ও উৎসাহী ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের প্রথম স্থান অধিকারী ছিলেন। চট্টগ্রাম এনায়েত বাজার মহিলা কলেজে ৪০ বছরেরও বেশি সময় অধ্যাপনা করেছেন এবং ৩০ বছর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে দু'বার চট্টগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন। বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, গল্পকার, নাট্যকার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মরহুম চৌধুরী জহুরুল হক ছিলেন তার স্বামী।
নীলুফার ইয়াসমিন: বাংলাদেশের একজন বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী ছিলেন নীলুফার ইয়াসমিন (১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮ - ১০ মার্চ, ২০০৩)। ২০০৪ সালে সঙ্গীতে অবদানের জন্য একুশে পদক লাভ করেন। তিনি উচ্চাঙ্গ, নজরুল, অতুলপ্রসাদ, দ্বিজেন্দ্রলাল, রজনীকান্ত, টপ্পা, ঠুমরি, কীর্তন, রাগপ্রধান, আধুনিক গানসহ বিভিন্ন ধারার সঙ্গীতের উপর দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। তিনি ১৯৪৮ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৬৯ সালে খ্যাতনামা গীতিকার, সুরকার, শিল্পী ও অভিনেতা খান আতাউর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার একমাত্র পুত্র খান আসিফুর রহমান ‘আগুন’। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগের নজরুল সঙ্গীত বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। তার নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগে একটি পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে।
আরও তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই নিবন্ধটি আপডেট করব।