নিরাপত্তা

বাংলাদেশে নিরাপত্তা: খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তার বাস্তবতা

বাংলাদেশের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা ও সামাজিক নিরাপত্তা দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। খাদ্য নিরাপত্তা বলতে বোঝায় সবার কাছে সারা বছর পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাদ্যের সুষ্ঠু সরবরাহ। জাতীয় ও পারিবারিক উভয় পর্যায়ে এটি গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক খাদ্য নিরাপত্তা আয়, কৃষিজমি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং পুষ্টি সম্পর্কে জ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। জাতীয় পর্যায়ে খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, ভান্ডারজাতকরণ, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো বিষয় খাদ্য নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করে। ১৯৪৩-৪৪, ১৯৫৪-৫৬, এবং ১৯৭৩-৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ এর প্রকট উদাহরণ। জনসংখ্যা বৃদ্ধিও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

সামাজিক নিরাপত্তা বলতে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের সরকারি সহায়তা দেওয়াকে বোঝায়। ৭০-এর দশকে এ ধরণের ব্যবস্থা সীমিত ছিল, কিন্তু পরে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়। দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র (PRSP) ১৮টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চিহ্নিত করেছে, যেমন বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দিব্যাঙ্গ ভাতা, দরিদ্র মাতা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, অনাথ আশ্রম, জ্বালানি তেল ভর্তুকি, প্রাথমিক শিক্ষা ভাতা, ছাত্রী ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, পোশাক শিল্প শ্রমিকদের তহবিল, বেকারত্ব দূরীকরণ কর্মসূচি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্ষতিপূরণ, গ্রামীণ মাতৃকেন্দ্র, মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার, এবং কমিউনিটি পুষ্টি কর্মসূচি। ২০০৮-০৯ সালে প্রায় ৮.৫ মিলিয়ন পরিবার এসব কর্মসূচির আওতায় ছিল।

তবে, খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রয়েছে। দারিদ্র্য, অসমতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এবং পরিবেশগত সমস্যা এই দুটি নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে। ভবিষ্যতে সুষম বিকাশ এবং সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা জাতীয় ও পারিবারিক উভয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ।
  • ১৯৪৩-৪৪, ১৯৫৪-৫৬, ও ১৯৭৩-৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল।
  • সরকার বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
  • দারিদ্র্য, অসমতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ।

গণমাধ্যমে - নিরাপত্তা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।