বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর বাজারের অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্যহীনতা, মূল্যস্ফীতি, সিন্ডিকেট, আমদানি-রপ্তানির প্রভাব, উৎপাদন ব্যয়, এবং সরকারি পদক্ষেপের ভূমিকা - এইসব বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২.৫৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। চাল, আটা, ময়দার মতো পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও, পেঁয়াজ, আলু, কাঁচামরিচ, মাছ, মাংস, ডিম, চিনি, এবং বিভিন্ন মসলার দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। টিসিবি ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সুলভ মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পেঁয়াজের উৎপাদন যথেষ্ট থাকার পরও মজুতের অভাবে নষ্ট হওয়ার কারণে দাম বেড়েছে। আলুর উৎপাদন যথেষ্ট থাকা সত্ত্বেও কোল্ড স্টোরেজের অপ্রতুলতার কারণে দাম বেড়েছে। মাছ মাংসের দাম বৃদ্ধি উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে। ডিমের চাহিদা ও উৎপাদনের মধ্যে ভারসাম্য থাকার পরও দাম বৃদ্ধি হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা উৎপাদন খরচ, আমদানি ব্যয়, ডলারের সংকট, এবং বাজার সিন্ডিকেটের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছেন। সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, তবে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আরও কঠোর নীতি ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী
মূল তথ্যাবলী:
- ২০২৪ সালের অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।
- পেঁয়াজ, আলু, কাঁচামরিচ, মাছ, মাংস, ডিম, চিনি, এবং মসলার দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
- টিসিবি ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সুলভ মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে।
- উৎপাদন, মজুত, বাজার ব্যবস্থাপনা, ডলার সংকট, এবং বাজার সিন্ডিকেট দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ।
- সরকার মূল্য নিয়ন্ত্রণে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।
গণমাধ্যমে - নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী
বসুন্ধরা শুভসংঘ মারকাজুল উলুম নূরানী কওমী হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার ৫০ জন এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য টয়লেট টিস্যু, সাবান, টুথপেস্ট, গামছাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী উপহার দিয়েছে।