নিউ হরাইজন প্রজেক্ট

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪২ এএম

নিউ হরাইজনস মহাকাশ অভিযান: প্লুটো ও তার অতীতের সন্ধানে

নাসার নিউ ফ্রন্টিয়ার্স কর্মসূচির অধীনে ২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারী, ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ারফোর্স স্টেশন থেকে উৎক্ষেপিত হয় নিউ হরাইজনস নামক আন্তঃগ্রহ মহাকাশযান। এপ্লাইড ফিজিক্স ল্যাবরেটরি (এপিএল) এবং সাইথইস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর সহযোগিতায় নির্মিত এই যানটি প্লুটো, তার উপগ্রহ শ্যারন এবং কাইপার বেল্টের গবেষণার জন্য তৈরি। অ্যালেন স্টার্নের নেতৃত্বাধীন একটি দল এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত ছিল।

নিউ হরাইজনস ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই প্লুটোর কাছাকাছি পৌঁছে এবং প্লুটো ও শ্যারনের পৃষ্ঠ, পরিবেশ এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করে। এটি প্লুটো থেকে মাত্র ১২,৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে উড়ে যায়। এই মিশন ম্যারিনার প্রকল্পের চেয়ে প্রায় ৫,০০০ গুণ বেশি তথ্য সংগ্রহে সক্ষম হয়।

প্লুটোর গবেষণা শেষ করে নিউ হরাইজনস কাইপার বেল্টের আরেকটি বস্তু, ২০০৪ MU69 (পরে আলটিমা থুলে নামকরণ) -এর দিকে যাত্রা করে। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারী এই বস্তুর কাছাকাছি পৌঁছে এটি আরও তথ্য সংগ্রহ করে। এই মহাকাশযান ৬০০ কোটি কিলোমিটার দূর থেকেও ছবি ও তথ্য প্রেরণ করতে পারে।

নিউ হরাইজনস মহাকাশযানের উদ্দেশ্য ছিল সৌরজগতের সীমান্ত, কাইপার বেল্ট এবং প্লুটোর গঠন ও ইতিহাস সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করা। এই মিশন সৌরজগতের উৎপত্তি ও বিকাশে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন নিউ হরাইজনস থেকে পাওয়া তথ্য সৌরজগতের উৎপত্তি ও উন্নয়নের ধারণা সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়া আরও পরিষ্কার করে তুলবে। এই মহাকাশযানটির পাঠানো ডাটা বিশ্লেষণ এখনো অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতে এর থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারী উৎক্ষেপণ
  • ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই প্লুটোর নিকটবর্তী উড়ান
  • ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারী আলটিমা থুলে-এর নিকটবর্তী উড়ান
  • প্লুটো ও কাইপার বেল্টের গবেষণা
  • অ্যালান স্টার্নের নেতৃত্বে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - নিউ হরাইজন প্রজেক্ট

৩ জানুয়ারী ২০২৫

নিউ হরাইজন প্রজেক্ট-এর এক প্রতিবেদনে ইউরোপে মুসলিমদের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।