নাইজার

নাইজার: পশ্চিম আফ্রিকার একটি স্থলবেষ্টিত দেশ, যা আনুষ্ঠানিকভাবে নাইজার প্রজাতন্ত্র নামে পরিচিত। এর উত্তরে আলজেরিয়া ও লিবিয়া, দক্ষিণে নাইজেরিয়া ও বেনিন, পূর্বে চাঁদ এবং পশ্চিমে বুরকিনা ফাসো ও মালি অবস্থিত। নাইজার নদীর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। দেশটির আয়তন প্রায় ১২ লাখ ৬৭ হাজার বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ২৫ মিলিয়ন, যাদের অধিকাংশই মুসলিম।

ইতিহাস:

প্রাচীনকালে নাইজারে বিভিন্ন রাজত্বের অস্তিত্ব ছিল। ১৮ শতকের শেষভাগে ইউরোপীয়রা এখানে আগমন করে। ১৮৮৩ থেকে ১৮৯৯ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। ১৯৬০ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর থেকে বেশ কিছু সামরিক অভ্যুত্থানের সম্মুখীন হয়েছে। ২০২৩ সালে আরেকটি সামরিক অভ্যুত্থানের ফলে দেশটি আবারও সামরিক শাসনের অধীনে চলে গেছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বাজুমকে অপসারণ করে জেনারেল আব্দুর রহমান চিয়ানি ক্ষমতা দখল করেন। এই ঘটনায় ফ্রান্স এবং ইকোয়াস সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়েছে।

ভৌগোলিক অবস্থান:

নাইজার মূলত মরুভূমি ও আধা-মরুভূমি অঞ্চল। দক্ষিণাঞ্চলে সবানা অঞ্চল রয়েছে। নাইজার নদী দেশটির পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়। উল্লেখযোগ্য স্থানের মধ্যে আছে নিয়ামে (রাজধানী), আগাদেজ, জিন্দার, আরলিট (ইউরেনিয়াম খনি)।

অর্থনীতি:

নাইজারের অর্থনীতি মূলত কৃষিকাজ, পশুপালন ও ইউরেনিয়ামের উপর নির্ভরশীল। ইউরেনিয়াম বিশ্বের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য। দারিদ্র্য, খরা ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি অর্থনীতির বড় সমস্যা।

সংস্কৃতি:

নাইজারের সংস্কৃতি বহুমুখী। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। হাউসা, জারমা, সোংহাই, তুয়ারেগ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য জাতিগোষ্ঠী।

মূল তথ্যাবলী:

  • নাইজার পশ্চিম আফ্রিকার একটি স্থলবেষ্টিত দেশ।
  • এর অধিকাংশ জনসংখ্যা মুসলিম।
  • ইউরেনিয়াম এর প্রধান রপ্তানি পণ্য।
  • দারিদ্র্য ও খরা এর বড় সমস্যা।
  • ২০২৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের সম্মুখীন হয়েছে।