ফরিদপুর জেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হল নগরকান্দা ও সালথা। দুটি উপজেলারই নিজস্ব ইতিহাস, ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা, অর্থনীতি এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে।
নগরকান্দা উপজেলা:
নগরকান্দা উপজেলার আয়তন প্রায় ১৯২.২০ বর্গ কিমি। এটি ২৩°১৯´ থেকে ২৩°২৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪৩´ থেকে ৮৯°৫৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। উত্তরে ফরিদপুর সদর ও চরভদ্রাসন উপজেলা, দক্ষিণে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা, পূর্বে ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে সালথা উপজেলা এর সীমানা। ১৯০৬ সালে নগরকান্দা থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে তা উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। এই উপজেলা সোনালী আশ পাট ও পিঁয়াজের জন্য বিখ্যাত। নগরকান্দা উপজেলার জনসংখ্যা (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী) প্রায় ১,৯৭,৮৯৮ জন। মুক্তিযুদ্ধকালীন নগরকান্দা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল; এখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
সালথা উপজেলা:
সালথা উপজেলা ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত। এর আয়তন প্রায় ১৮৬.২০ বর্গ কিমি। এটি ২৩°১৮´ থেকে ২৩°৩০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪৩´ থেকে ৮৯°৫৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। সালথা উপজেলার উত্তরে ফরিদপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলা, পূর্বে নগরকান্দা উপজেলা এবং পশ্চিমে বোয়ালমারী উপজেলা অবস্থিত। ২০০৬ সালে সালথা উপজেলা গঠিত হয় এবং ২০০৮ সালে এর প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। এই উপজেলা পাট এবং পিঁয়াজ উৎপাদনের জন্য পরিচিত। এছাড়াও খেজুরের রস এবং গুড়ের জন্যও সালথা উপজেলা বিখ্যাত। সালথার জনসংখ্যা (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী) প্রায় ১,৬৭,৪৪৬ জন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সালথাও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল।
উভয় উপজেলারই অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। পাট, পিঁয়াজ, ধান, এবং অন্যান্য ফসল উৎপাদন এই এলাকার প্রধান অর্থনৈতিক কাজ। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র উভয় উপজেলাতেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় আছে। তবে উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরও অনেক কাজ করার অবকাশ রয়েছে। এই উপজেলা দুটির বিস্তারিত তথ্য পেতে সংশ্লিষ্ট সরকারি ওয়েবসাইট এবং প্রকাশনা দেখা যেতে পারে।