দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র শিল্প একটি বহুমুখী শিল্প, যা কন্নড়, মালয়ালম, তামিল, তেলুগু এবং তুলু- এই পাঁচটি ভিন্ন ভাষার চলচ্চিত্র শিল্পকে একত্রে বোঝায়। প্রতিটি শিল্পের নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, এবং ভৌগোলিক কেন্দ্র রয়েছে।
কন্নড় চলচ্চিত্র: কর্ণাটক রাজ্যের কন্নড় ভাষার চলচ্চিত্র শিল্প, ‘স্যান্ডেলউড’ নামেও পরিচিত। বেঙ্গালুরু এর কেন্দ্রবিন্দু।
মালয়ালম চলচ্চিত্র: কেরল রাজ্যের মালয়ালম ভাষার চলচ্চিত্র শিল্প, ‘মলিউড’ নামেও পরিচিত। কোচি এর কেন্দ্রবিন্দু।
তামিল চলচ্চিত্র: তামিলনাড়ু রাজ্যের তামিল ভাষার চলচ্চিত্র শিল্প, ‘কলিউড’ নামেও পরিচিত। চেন্নাই এর কেন্দ্রবিন্দু।
তেলুগু চলচ্চিত্র: অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের তেলুগু ভাষার চলচ্চিত্র শিল্প, ‘টলিউড’ নামেও পরিচিত। হায়দ্রাবাদ এর কেন্দ্রবিন্দু।
তুলু চলচ্চিত্র: কর্ণাটক রাজ্যের তুলু ভাষার চলচ্চিত্র শিল্প, ‘কোস্টালউড’ নামেও পরিচিত। ম্যাঙ্গালোরে এর কেন্দ্রবিন্দু।
এই শিল্পগুলির উত্থান ১৯শ শতাব্দীর শেষের দিকে এবং ২০শ শতাব্দীর প্রথম দিকে শুরু হয়। নীরব চলচ্চিত্রগুলির মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে, ধীরে ধীরে সবাক চলচ্চিত্রের যুগে পদার্পণ করে। প্রথম তামিল সবাক চলচ্চিত্র ‘কালিদাস’ (১৯৩১) এবং প্রথম মালয়ালম সবাক চলচ্চিত্র ‘বালান’ (১৯৩৮) এই যুগের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সাউথ ইন্ডিয়ান ফিল্ম চেম্বার অফ কমার্স এই শিল্পগুলির নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তেলুগু ও তামিল চলচ্চিত্র মিলে দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র শিল্পের ৩৬% রাজস্ব তৈরি করে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র শিল্প বলিউডকে টেক্কা দিয়ে, বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ‘বাহুবলী’, ‘কেজিএফ’, ‘পুষ্পা’, ‘আরআরআর’ এর মতো ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রগুলি এই জনপ্রিয়তার প্রমাণ। এই শিল্পের সাথে অনেক প্রখ্যাত অভিনেতা, পরিচালক এবং প্রযোজকের নাম যুক্ত। আরও তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হবে।