হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন তৃতীয় টার্মিনাল: বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের এক নতুন অধ্যায়
২০১৭ সালে প্রকল্প গ্রহণের পর ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক তৃতীয় টার্মিনালের। প্রায় ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টার্মিনাল জাপানের মিৎসুবিশি, ফুজিটা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং এর যৌথ উদ্যোগে নির্মিত। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর এর আংশিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পুরোপুরি ব্যবহার শুরু হবে আগামী বছরের শেষের দিকে।
এই তৃতীয় টার্মিনালের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিমানবন্দর সেবা আধুনিক যুগে প্রবেশ করল বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। টার্মিনালটিতে ১ কোটি ৬০ লাখ যাত্রীর ধারণক্ষমতা রয়েছে। এটিতে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার ফ্লোর আয়তন, ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজ, ৩৭টি বিমান পার্কিং স্থান, ১৬টি লাগেজ কনভেয়ার বেল্ট, ১১৫টি চেক ইন কাউন্টার এবং ১২৮টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার রয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য এয়ারলাইন্স লাউঞ্জ, ডে-রুম, মুভি লাউঞ্জ, শিশুদের প্লে-জোন এবং ফুড কোর্টও যুক্ত করা হয়েছে।
তবে, তৃতীয় টার্মিনালের ব্যয় এবং কার্যকারিতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। কয়েকগুণ বেশি খরচ করেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের বিষয়টিও সমালোচনার মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে আরও তথ্য জানার পরই আমরা আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে পারব।