থানে: মহারাষ্ট্রের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ শহর
থানে, ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের একটি বৃহৎ মহানগরী এবং থানে জেলার সদর দপ্তর। মুম্বাইয়ের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই শহরটি সালসেট দ্বীপের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। ১৯°১২′ উত্তর ৭২°৫৮′ পূর্ব অক্ষাংশে অবস্থিত থানের সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গড় উচ্চতা ৯ মিটার।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
প্রাচীনকালে শ্রীস্থান নামে পরিচিত থানে, মধ্যযুগীয় আরব সূত্রে থানা নামে উল্লেখিত। ১০৭৮ খ্রিস্টাব্দে থানে দুর্গের ভিত্তিস্থাপন থেকে একটি তাম্রশাসন পাওয়া গেছে, যা তগরার আধিপত্য আরিকেশর দেবরাজের দান সম্পর্কে বর্ণনা করে। মারাঠা সাম্রাজ্যের সামরিক প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ কেন্দ্র হিসেবে থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। প্রথম অ্যাংলো-মারাঠা যুদ্ধের সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সালসেট দ্বীপ ও থানে দুর্গ দখল করেছিল, কিন্তু পরে মারাঠা বাহিনী তা পুনঃদখল করে।
জনসংখ্যা ও সাক্ষরতা:
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী থানের জনসংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ ৮৬ হাজার। শহরের সাক্ষরতার হার ৯১.৩৬%। মারাঠি থানের প্রধান ভাষা, হিন্দিও বহুল প্রচলিত। কিছু পুরনো পরিবার এখনও পর্তুগিজ ভাষা ব্যবহার করে।
অর্থনীতি ও পরিবহন:
থানে রেল যোগাযোগের জন্য বিখ্যাত। এশিয়ার প্রথম যাত্রীবাহী রেল ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল বোরি বন্দর (বোম্বে) থেকে থানে চালু হয়। থানে রেল স্টেশন ভারতের ব্যস্ততম স্টেশনগুলির মধ্যে একটি। মুম্বাই মেট্রোর বিস্তৃতি থানে পর্যন্ত হয়েছে এবং আরও বিস্তৃত হচ্ছে। থানে পৌর পরিবহন (TMT) এবং অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থা শহর ও আশেপাশের এলাকাগুলিতে পরিষেবা প্রদান করে।
উল্লেখযোগ্য দিক:
- থানে দুর্গ
- থানে রেলওয়ে স্টেশন
- মুম্বাই মেট্রোর থানে বিভাগ
- থানে পৌর পরিবহন (TMT)
- 'সোয়াচ ভায়ু সার্ভেক্ষণ ২০২৪' অনুসারে ভারতের ১২তম সর্বোত্তম পরিষ্কার বায়ু শহর।