তামিম ইকবাল: বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক অমিত্র অধ্যায়
তামিম ইকবাল খান, বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে এক অম্লান নাম। ২০ মার্চ ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়িতে জন্ম নেওয়া এই ক্রিকেট তারকা ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। তার বাবা ইকবাল খান একজন ফুটবলার ও ক্রিকেটার ছিলেন এবং বড় ভাই নাফিস ইকবালও একজন সাবেক ক্রিকেটার। তামিমের ক্রিকেট জীবন অসাধারণ সাফল্যের এক ইতিহাস। তিনি টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, তিন ফরম্যাটেই অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার যিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০,০০০ রান এবং একদিনের আন্তর্জাতিকে ৬,০০০ রান করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি করেছেন এবং ২০টির বেশি সেঞ্চুরির অধিকারী। ২০১১ সালে তিনি উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাকের বর্ষসেরা ৫ ক্রিকেটারের একজন হিসেবে নির্বাচিত হন।
তার ক্যারিয়ারে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি, পাকিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড জুটি, ভারতের বিপক্ষে রেকর্ড জুটি, এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০০, ৩০০০, ৫০০০ ও ১২০০০ রানের মাইলফলক অর্জন – এই সবই তার সাফল্যের চিত্র। ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে তিনি তার ২০০তম ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। তিনি ২০১৯-২০ বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ টুর্নামেন্টে অপরাজিত ৩৩৪ রানের ইনিংস খেলেন, যা এক প্রকার রেকর্ড। মাশরাফি বিন মুর্তজার পর তিনি বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২২ সালে তিনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৬ জুলাই সমস্ত ধরণের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। তবে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতির সাথে বৈঠকের পর তিনি অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন।
তামিম ইকবাল শুধুমাত্র একজন ক্রিকেটার নন, তিনি একজন আইকন, একজন অনুপ্রেরণা। তাঁর অবদান বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে স্মরণীয় থাকবে।