ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর: একজন অসাধারণ আইনজীবী ও অধিকারকর্মী
ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী আইনজীবী এবং অধিকারকর্মী। তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলাম, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক এবং সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন।
তানিয়া আমীরের শিক্ষাজীবন শুরু হয় ইউনাইটেড নেশনস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গ্রিন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং স্কলাস্টিকা-তে। তিনি ১৯৯০ সালে বাকিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রি লাভ করেন এবং গ্রে'স ইন-এ ডাক পান। ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশ হাইকোর্ট এবং ১৯৯৩ সালে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। তিনি 'আমির এবং আমির আইন সহযোগীদের চেম্বার' প্রতিষ্ঠা করেন।
তার পেশাগত জীবনে তিনি বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি ২০১৮ সালে ইমরান এইচ সরকারের পক্ষে আদালতে লড়াই করেছেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন হত্যা মামলায় জামিন পেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের আবেদনেও কাজ করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে কাজী সালাহউদ্দিনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
তানিয়া আমীর ২০০৫ সালে বেগম রোকেয়া শাইনিং পার্সোনালিটি অ্যাওয়ার্ড এবং ২০০৯ সালে গান্ধী শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি পিআরআইপি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং টিভি অনুষ্ঠান 'তারকাদের আড্ডা' সঞ্চালনা করেছিলেন।
২০২৩ সালের নভেম্বরে তিনি ও তার পিতা কুষ্টিয়ার দুটি আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। তার সম্পর্কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকে বিভিন্ন মন্তব্য আসলেও তার আইনি ও অধিকার আন্দোলনের অবদান অস্বীকার করা যায় না।
আমরা আশা করি তানিয়া আমীরের জীবন ও কাজের বিস্তারিত তথ্য ভবিষ্যতে উপলব্ধ হবে এবং এই লেখাটি তখন আরও সম্পূর্ণ করা সম্ভব হবে।