তাগিদপত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া যা সরকারি দপ্তরে পত্রের উত্তর না পাওয়া অবস্থায় ব্যবহৃত হয়। এই পত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পুনরায় পত্রের উত্তর দিতে অনুরোধ করা হয়। প্রথম তাগিদপত্র প্রেরণের জন্য সর্বোচ্চ ১৫ দিনের সময়সীমা নির্ধারিত আছে। প্রথম তাগিদপত্র প্রেরণের ১৫ দিন পর দ্বিতীয় তাগিদপত্র এবং তারপরও উত্তর না পাওয়া গেলে ১৫ দিন পর তৃতীয় তাগিদপত্র প্রেরণ করা যাবে। এছাড়াও, এসএমএস, ই-মেইল, ভয়েস মেইল বা টেলিফোনের মাধ্যমেও তাগিদ দেওয়া যেতে পারে। প্রতিটি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রাপ্ত, নিষ্পত্তিকৃত এবং অনিষ্পত্তিকৃত বিষয়াদির মাসিক বিবরণী প্রস্তুত করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পেশ করতে হয়। এই বিবরণীতে এক মাসের বেশি সময় ধরে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকা বিষয়াদির বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সরকারি চাকরির নিয়মাবলী নিয়ে পড়াশোনা করার অভিজ্ঞতা থেকে আমি এই তথ্যগুলো শেয়ার করছি। বিষয়টি আরও স্পষ্ট করার জন্য, বিভিন্ন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপ-সচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব, এবং সচিব কর্মকর্তাদের কাজের বিভাজন এবং তাদের ভূমিকা উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, প্রথম তাগিদপত্র প্রেরণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তার, দ্বিতীয় তাগিদপত্রের দায়িত্ব উপ-সচিবের এবং উচ্চ পর্যায়ের কার্যব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব যুগ্ম/অতিরিক্ত/সচিব কর্মকর্তাদের উপর নির্ভর করে।
তাগিদপত্র
মূল তথ্যাবলী:
- প্রথম তাগিদপত্র ১৫ দিনের মধ্যে প্রেরণ করতে হবে।
- প্রয়োজন হলে ১৫ দিন পর দ্বিতীয় এবং তারপর ১৫ দিন পর তৃতীয় তাগিদপত্র প্রেরণ করা যাবে।
- এসএমএস, ই-মেইল, টেলিফোন ব্যবহার করে তাগিদ দেওয়া যাবে।
- প্রতি মাসে অনিষ্পত্তিকৃত বিষয়াদির বিবরণী উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পেশ করতে হবে।
গণমাধ্যমে - তাগিদপত্র
24/12/2024
ভারতের কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেলে বাংলাদেশ তাগিদপত্র পাঠাতে পারে।