নাটোরের বড় হরিশপুর কাশিমপুর মহাশ্মশানে ৫৬ বছর বয়সী তরুণ কুমার দাসের হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সারা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শ্মশানের ভোগ ঘরের বারান্দা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শ্মশান কমিটির দাবি, তরুণ কুমার মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে রাতে শ্মশানেই থাকতেন। তিনি পৌর এলাকার আলাইপুর এলাকার কালীপদ দাসের ছেলে ছিলেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ জানিয়েছে, তরুণ কুমারের হত্যা করা হয়েছে এবং শ্মশানের ভান্ডার ঘর থেকে ৩ থেকে ৪ মণ কাঁসার মালামাল চুরি হয়েছে। মন্দিরের গ্রিল কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার ছেলে তপু কুমার দাস বাবার হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
শ্মশান কমিটির সহসভাপতি সুবল কুমার দাস এবং কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানের সাধারণ সম্পাদক সত্য নারায়ণ রায় টিপু জানিয়েছেন, তরুণ কুমার শ্মশানের কর্মচারী ছিলেন না, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ একজন ভবঘুরে ছিলেন। তিনি মাঝে মধ্যে কুকুরের সাথে খেলা করতেন এবং খাবার ভাগাভাগি করে খেতেন। নাটোর পৌরসভার অর্থায়নে শ্মশানে চারজন কর্মচারী থাকলেও, তরুণ কুমারের উপস্থিতি সকলের কাছে পরিচিত ছিল। নাটোর পৌরসভার প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল ও তাকে রাস্তায় আবোল-তাবোল বক্তৃতা দিতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব রহমান ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন। রাজশাহী থেকে সিআইডি এবং ক্রাইমসিন ইউনিট তদন্তে যুক্ত হয়েছে। পুলিশ আশা করছে, খুব দ্রুত হত্যাকারীরা আইনের আওতায় আসবে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে, যদিও তাদের বিবৃতিতে তরুণ কুমারের পরিচয় নিয়ে কিছু ভুল তথ্য ছিল বলে জানা গেছে।