১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা। ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রাঙ্গণে অবস্থিত এই স্মৃতিস্তম্ভটি প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে, হাজার হাজার মানুষের শ্রদ্ধাঞ্জলির স্থান হিসেবে পরিচিত।
প্রথম শহীদ মিনারটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা ১৯৫২ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি রাতে তৈরি করেছিলেন, মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে। এটি ছিল ১০ ফুট উঁচু এবং ৬ ফুট চওড়া। কিন্তু, দুঃখের বিষয়, ২৬শে ফেব্রুয়ারি পুলিশ এই মিনার ভেঙে ফেলে।
বর্তমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটির নির্মাণ ১৯৫৭ সালে শুরু হয়ে ১৯৬৩ সালে শেষ হয়। বিখ্যাত ভাস্কর হামিদুর রহমান এর নকশা করেছিলেন। তবে, মূল নকশার অনেক অংশ বাদ দিয়ে কাজটি সম্পন্ন করা হয়। ১৯৬৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের শহীদ আবুল বরকতের মাতা হাসিনা বেগম এই মিনারের উদ্বোধন করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী শহীদ মিনার ধ্বংস করেছিল। স্বাধীনতার পরে তা পুনর্নির্মাণ করা হয়। বর্তমান শহীদ মিনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে রয়েছে, যদিও বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত অনুদান প্রদান করে। শহীদ মিনারের আশেপাশে ২০ কাঠা জমি দখলকৃত রয়েছে, এছাড়াও এই ঐতিহাসিক স্থানের সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়নের আবশ্যকতা থাকছে।