ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এলাকা

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এলাকা: ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও বর্তমান অবস্থা

ঢাকার মার্কিন দূতাবাস, বারিধারা অঞ্চলে অবস্থিত, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনের কেন্দ্রবিন্দু। ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় কনস্যুলেট-জেনারেল হিসেবে যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, কনসাল-জেনারেল আর্চার ব্লাডের প্রেরিত ‘ব্লাড টেলিগ্রাম’ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংসতা তুলে ধরে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছিল। ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকৃতি দেয় এবং চার দিন পরে দুই দেশের মধ্যে দূতাবাস পর্যায়ের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ১৯৮৯ সালে বর্তমান দূতাবাস ভবনটি নির্মিত হয়, যা মুঘল-বাঙ্গালী স্থাপত্যশৈলীতে সুসজ্জিত।

দূতাবাস এলাকাটি ঢাকার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কেননা এটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি কেন্দ্রবিন্দু। এখানে নিযুক্ত অসংখ্য কর্মকর্তা, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় করার জন্য কাজ করেন। দূতাবাসের বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে কনস্যুলার সেবা, অর্থনৈতিক সহায়তা, শিক্ষাগত বিনিময়, এবং সাংস্কৃতিক কর্মসূচী। বর্তমানে, বিভিন্ন কারণে দূতাবাসের রুটিন কনস্যুলার সেবা বন্ধ রয়েছে।

আরও উল্লেখ্য, দূতাবাস এলাকার বাতাসের মান নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। সম্প্রতি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এলাকাটিতে বায়ু দূষণের মাত্রা চিন্তার কারণ।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৪৯ সালে ঢাকায় মার্কিন কনস্যুলেট-জেনারেল প্রতিষ্ঠা।
  • ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকৃতি ও দূতাবাস পর্যায়ের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন।
  • ১৯৮৯ সালে বর্তমান দূতাবাস ভবনের উদ্বোধন।
  • ‘ব্লাড টেলিগ্রাম’-এর মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধের নৃশংসতা তুলে ধরা।
  • বর্তমানে দূতাবাসের নিয়মিত কনস্যুলার সেবা বন্ধ।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এলাকা

১ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০০ এএম

এই এলাকায় বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে ছিল