টুপামারী

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২:০২ এএম

টুপামারী পুকুর: কুড়িগ্রামের এক মনোরম বনানী

কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত টুপামারী পুকুর, জেলার একমাত্র এবং বিখ্যাত পিকনিক স্পট হিসেবে পরিচিত। প্রায় ২৫ একর জায়গা জুড়ে এই পুকুর ও তার আশপাশের এলাকায় এই পিকনিক স্পট গড়ে উঠেছে।

ঐতিহাসিক পটভূমি: স্থানীয়দের মতে, ১৯৮০ সালের পূর্বে এটি ছিল একটি নিচু জলাভূমি। ১৯৮১ সালে টুপামারী পুকুর খনন করা হয় এবং মাছ ও কচ্ছপ চাষের সাথে সাথে চারপাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করা হয়। ধীরে ধীরে এটি স্থানীয়দের কাছে আধুনিক পিকনিক স্পট হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। প্রতি ছয় মাস অন্তর এই পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ছাড়া হয়।

অর্থনৈতিক গুরুত্ব: মাছ, কচ্ছপ চাষ এবং ফলের বিক্রয় থেকে প্রতি বছর প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকা আয় হয় টুপামারী পুকুর থেকে। এই আয় স্থানীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা: ঢাকা, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিহাট প্রভৃতি স্থান থেকে কুড়িগ্রামে সহজেই যানবাহন পাওয়া যায়। কুড়িগ্রাম শহর থেকে টুপামারী পুকুরে সিএনজি বা ইজিবাইকযোগে যাওয়া যায়।

দর্শনীয় স্থান: টুপামারী পুকুর ছাড়াও কুড়িগ্রামে উলিপুর মুন্সিবাড়ী, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক, ধরলা ব্রিজ, ভেতরবন্দ জমিদার বাড়ী ও চান্দামারী মসজিদ সহ আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য তথ্য: টুপামারী পুকুর কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলায় অবস্থিত। এটি কুড়িগ্রাম শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

মূল তথ্যাবলী:

  • টুপামারী পুকুর কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।
  • প্রায় ২৫ একর জুড়ে বিস্তৃত এটি জেলার একমাত্র পিকনিক স্পট।
  • ১৯৮০ সালে খনন করা হয় এবং মাছ, কচ্ছপ চাষ ও বনজ-ফলজ গাছের চাষের মাধ্যমে বিকাশ লাভ করে।
  • বছরে প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকা আয় হয় এখান থেকে।
  • কুড়িগ্রাম শহর থেকে সিএনজি বা ইজিবাইকে যাওয়া যায়।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।