ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:৪৭ এএম

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা: ঐতিহ্য, ভূগোল ও বর্তমান

বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার অন্যতম প্রশাসনিক এলাকা হল মহেশপুর উপজেলা। প্রায় ৪১৯.৫৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলা উত্তরে কোটচাঁদপুর ও জীবননগর উপজেলার সীমান্তে, দক্ষিণে চৌগাছা উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে, পূর্বে চৌগাছা উপজেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাথে ঘেঁষে আছে। কপ্তাক্ষ নদীর তীরে অবস্থিত এই উপজেলার ঐতিহাসিক নাম ছিল যোগীদহ। ১১০৭ সালে হিন্দু দেবতা মহেশ্বরের নামে মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর নামকরণ হয় মহেশপুর। জনশ্রুতি অনুযায়ী, রাজা মহেশচন্দ্র বা কৈবর্ত রাজা ‘মহেশ’-এর নামানুসারেও এই নামকরণ হতে পারে।

১৯৪৭ সালের পূর্বে ভারতের বনগাঁও মহকুমার অংশ ছিল মহেশপুর। পরে এটি ঝিনাইদহ মহকুমার অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানা হতে উপজেলায় উন্নীত হয়। এটি একটি উর্বর অঞ্চল এবং ‘খাদ্যভাণ্ডার’ বা ‘রত্নভাণ্ডার’ হিসেবে পরিচিত।

মহেশপুর উপজেলা ১২টি ইউনিয়নে বিভক্ত: এসবিকে, ফতেপুর, পান্তাপাড়া, স্বরুপপুর, শ্যামকুড়, নেপা, কাজিরবেড়, বাঁশবাড়িয়া, যাদবপুর, নাটিমা, মান্দারবাড়িয়া এবং আজমপুর। মহেশপুর শহরটি ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

যোগাযোগ ব্যবস্থা:

সড়ক ও রেলপথের মাধ্যমে মহেশপুর সারা দেশের সাথে যুক্ত। খালিশপুর হয়ে আঞ্চলিক মহাসড়কের সাথে যুক্ত এবং কোটচাঁদপুর রেল স্টেশনের মাধ্যমে রেল যোগাযোগ রয়েছে।

ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থান:

বুড়ো শিব (মহেশ্বর) মন্দির, রাজবল্লভ মন্দির, সুন্দরপুর জমিদার বাড়ি, খালিশপুরের নীলকুঠি, ভালাই শাহের মাযার ও শ্রীপাট মন্দির উল্লেখযোগ্য। মুক্তিযুদ্ধে হুশোরখালি, বাবুর বাগান, উজ্জলপুর, যাদবপুর, দত্তনগর ও পুড়োপাড়া স্থানে লড়াই হয়েছিল।

অর্থনীতি:

মহেশপুরের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। ধান, পাট, গম, আখ, তুলা, শাকসবজি ইত্যাদি প্রধান কৃষি ফসল। তাঁতশিল্প, কাঠ ও বাঁশের কাজ কুটিরশিল্প হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য:

উপজেলায় কলেজ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক ইত্যাদি রয়েছে।

আরও তথ্যের জন্য আমরা আপনাকে পরবর্তীতে আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • মহেশপুর উপজেলা ঝিনাইদহ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
  • ৪১৯.৫৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলা কপ্তাক্ষ নদীর তীরে অবস্থিত।
  • ১৯৮৩ সালে থানা হতে উপজেলায় উন্নীত হয়।
  • ১২টি ইউনিয়ন ও ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।
  • মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী।
  • কৃষি ও কুটিরশিল্প অর্থনীতির মূল ভিত্তি।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।