ঝাড়খণ্ড: পূর্ব ভারতের একটি স্থলবেষ্টিত রাজ্য, যার রাজধানী রাঁচি। ২০০০ সালের ১৫ই নভেম্বর বিহার থেকে আলাদা হয়ে এটি একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এই রাজ্যটির পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে হলুদপুকুর, রাজমহল, নেতারহাট, হাজারিবাগ, মন্দর পর্বত ইত্যাদি। ২০০০ সালের আগে ঝাড়খণ্ড ছিল বিহারের অংশ। ঐতিহাসিকভাবে, মগধ সাম্রাজ্যের আগেও ঝাড়খণ্ড একটি স্বতন্ত্র ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক অঞ্চল ছিল। আদিবাসী শাসকগণ, যেমন মুন্ডা রাজা, বড় খামারভূমির মালিক ছিলেন। প্রায় ৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মহাজনপদের যুগে, ঝাড়খণ্ড মগধ, অঙ্গ, বঙ্গ, কালিঙ্গ, কাশী এবং বাজ্জি'র অংশ ছিল। ১৭৬৫ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডে বারবার বিদ্রোহ হয়েছিল, যেমন ১৭৬৬ সালের চুয়াড় বিদ্রোহ, ১৭৭১ সালে তিলকা মাঝির নেতৃত্বে রাজমহলের বিদ্রোহ, ১৮৩২ সালের মহান কোল বিদ্রোহ এবং ১৮৯৫ সালের বিরসা মুন্ডার বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহগুলি মূলতঃ জমিদারি ব্যবস্থা ও ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ছিল। বর্তমানে ঝাড়খণ্ড ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, খনিজ সম্পদ, ঐতিহাসিক স্থান এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। ধর্মীয় দিক থেকে হিন্দু ধর্মের প্রাধান্য রয়েছে। রাঁচি শহর ক্রিকেট ও হকির জন্য বিখ্যাত। জামশেদপুরে ফুটবলের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এটিকে একটি আকর্ষণীয় রাজ্য করে তুলেছে।
ঝাড়খণ্ড
মূল তথ্যাবলী:
- ঝাড়খণ্ড ২০০০ সালের ১৫ নভেম্বর বিহার থেকে আলাদা হয়ে রাজ্য হয়।
- খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এবং ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
- বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ব্রিটিশবিরোধী বিদ্রোহ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
- রাঁচি হল রাজ্যের রাজধানী।
- হিন্দুধর্ম রাজ্যের প্রধান ধর্ম।
- পর্যটন ক্ষেত্রে হলুদপুকুর, রাজমহল, নেতারহাট উল্লেখযোগ্য।
গণমাধ্যমে - ঝাড়খণ্ড
১ জানুয়ারী ২০১৭, ৬:০০ এএম
গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি পাওয়ার এই বছরে বাংলাদেশের সাথে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য চুক্তি করে।