২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান, যা ‘জুলাই বিপ্লব’ নামে পরিচিত, তাতে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছিলেন। এই আন্দোলন ছিল কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হলেও পরবর্তীতে এটি সরকারের পতনের দাবিতে রূপান্তরিত হয়। ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘রাজাকারের নাতি-পুতি’ বক্তব্যের পর আন্দোলন আরও তীব্রতর হয়। ১৫ জুলাই ছাত্রলীগ ও পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায়, ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এরপর আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের দমন-পীড়ন এবং সরকারের অগ্রহণযোগ্য আচরণের ফলে অসংখ্য ছাত্র-জনতা আহত হন। এ আন্দোলনে ১৪২৩ জন নিহত এবং প্রায় ২২০০০ জন আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব, দৃষ্টিশক্তি হ্রাসসহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতায় ভোগে। আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা কাজ করেছে। বিজিবি, বিভিন্ন হাসপাতাল এবং জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আহতদের চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। তবে আহতদের পুনর্বাসন ও দীর্ঘমেয়াদি সমর্থন নিশ্চিত করা এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
জুলাই বিপ্লবের আহত
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- জুলাই বিপ্লবে ১৪২৩ জন শহীদ ও প্রায় ২২০০০ জন আহত হয়েছিল।
- কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন সরকার পতনের দাবিতে রূপান্তরিত হয়।
- ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় অসংখ্য ছাত্র-জনতা আহত হয়।
- বিজিবি, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ফাউন্ডেশন আহতদের সাহায্য করেছে।
- আহতদের পুনর্বাসন ও দীর্ঘমেয়াদি সমর্থন একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - জুলাই বিপ্লবের আহত
জুলাই বিপ্লবে আহত হয়েছিলেন।