জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থল

বাংলাদেশের ৭ম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থল ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত। এটি কেবল একটি সমাধি নয়, বরং ৭৪ একর জুড়ে বিস্তৃত একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স, যা জিয়া উদ্যান নামেও পরিচিত। এই স্থাপত্য প্রকৌশল স্মৃতিস্তম্ভটি জাতীয় সংসদ ভবনের উত্তরে এবং গণভবনের পূর্বে চন্দ্রিমা উদ্যানে অবস্থিত।

কমপ্লেক্সটির কেন্দ্রবিন্দুতে জিয়াউর রহমানের কবর, যা কালো ও সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে বৃত্তাকারে সাজানো। চারপাশে আরবি লেখা খোদাই করা চার দেয়াল এবং কাচ ও ইস্পাতের ছাদ রয়েছে। মাজারের সামনে রংধনু আকৃতির একটি ঝুলন্ত সেতু মূল প্রবেশপথ। সেতুর উপর কাঁচের মার্বেলের খোদাই আছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিক থেকেও আরেকটি সেতু অবস্থিত। কমপ্লেক্সে দ্বিতল মেমোরিয়াল হল, মসজিদ, বিশ্রামাগার, লাইব্রেরি এবং সেমিনার হলও রয়েছে। এছাড়াও, জিয়া উদ্যানে চত্বর, ক্রিসেন্ট লেক, রাতের আলোয় সুন্দর লাগা ফোয়ারা আছে।

জিয়াউর রহমানের ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ায় জন্ম এবং ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রামে দাফন করা হলেও পরবর্তীতে ঢাকার বর্তমান স্থানে স্থানান্তর করা হয়। এই সমাধিস্থলটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের স্মৃতিরক্ষার জন্য নির্মিত, যিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করার মাধ্যমে বিখ্যাত হন। তবে সমাধিস্থলে জিয়াউর রহমানের দেহ আছে কিনা সে বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২১ সালে সরকারের পক্ষ থেকে এই স্থান সরানোর প্রস্তাব ও মাজার কমপ্লেক্সে জিয়াউর রহমানের দেহ নেই বলে দাবি করা হলেও, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর প্রতিবাদ জানায়। ২০১৫ সালে মাজারে ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছিল।

মূল তথ্যাবলী:

  • ৭৪ একর জুড়ে বিস্তৃত জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্স ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত।
  • কালো ও সাদা মার্বেলের সমাধি, রংধনু আকৃতির সেতু, মসজিদ, লাইব্রেরি এবং অন্যান্য সুবিধা সমৃদ্ধ।
  • ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠের জন্য বিখ্যাত জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থল।
  • সমাধিস্থল স্থানান্তর ও জিয়াউর রহমানের দেহ থাকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
  • ২০১৫ সালে ভাংচুরের শিকার হয়েছিল এই সমাধিস্থল।

গণমাধ্যমে - জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থল

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে ফুল দেওয়া