বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইতিহাসে জিয়াউর রহমান একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। ঢাকার শেরেবাংলা নগরে, জাতীয় সংসদ ভবনের উত্তরে এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের পূর্বে অবস্থিত চন্দ্রিমা উদ্যানে (বর্তমানে জিয়া উদ্যান নামে পরিচিত) তার কবর অবস্থিত। এই কবরস্থানটি একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য প্রকৌশল স্মৃতিস্তম্ভ।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারী বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। এই ঘোষণা ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাব পেয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালের ২১শে এপ্রিল তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন এবং ৩০শে মে ১৯৮১ সালে চট্টগ্রামে এক সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন। তার মৃত্যুর পর তার কবরটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
জিয়াউর রহমানের কবরস্থান ৭৪ একর জমির উপর বিস্তৃত ৭টি অংশে বিভক্ত একটি কমপ্লেক্স। এর মধ্যে জিয়াউর রহমানের কবর, একটি সংযোগ সেতু, একটি মেমোরিয়াল হল (যেখানে একটি মসজিদ ও বিশ্রামাগার রয়েছে), এবং দুটি চত্বর রয়েছে। এই কমপ্লেক্সটির কেন্দ্রবিন্দু হলো জেনারেল জিয়াউর রহমানের কবর, যা কালো ও সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত। কবরটির প্রস্থ ৩০ ফুট।
এই কবরস্থান নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। ২০২১ সালে আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ দাবি করেন যে, কবরে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই। এছাড়াও, কিছু historical event এর সাথে জড়িত।
জিয়াউর রহমানের মাজার কমপ্লেক্স স্থানান্তরের প্রস্তাব ও রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে লুই কানের সংসদ ভবনের মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কমপ্লেক্সটি সরানো হতে পারে। এই সিদ্ধান্ত বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।