জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:৪৯ এএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা) বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষক সংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অধিকার রক্ষা, শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমিতির নির্বাচন প্রায়শই রাজনৈতিক দলীয় সমর্থনের সাথে জড়িত থাকে। উল্লেখ্যযোগ্য তথ্য হলো, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে ১৪টিতে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থিত শিক্ষকরা সমঝোতার মাধ্যমে পদ ভাগাভাগি করে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যেখানে অধ্যাপক আইরিন আক্তার বিজয়ী হন। সভাপতি নির্বাচিত হন অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহেল রানা। নির্বাচনটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ কাহালী। জাকসু নির্বাচন এবং জুলাই আন্দোলনের ঘটনার প্রেক্ষিতে, শিক্ষক সমিতির নির্বাচন স্থগিত রাখার দাবিও উঠেছিল। তবে পরবর্তীতে জাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রণয়নের আশ্বাসে অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। বিভিন্ন সময়ে 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদ', 'মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের শিক্ষক পরিষদ', 'শিক্ষক ঐক্য পরিষদ' এবং 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ' নামক শিক্ষক সংগঠনগুলি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এই সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক দলীয় সমর্থন এবং সক্রিয়তা বিভিন্ন সময় পরিবর্তিত হয়েছে। অতীতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্বও দেখা দিয়েছে। বিশদ তথ্যের জন্য আরো তথ্য উপলব্ধ হলে আপডেট করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
  • ১৫টি পদের মধ্যে ১৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়।
  • সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে অধ্যাপক আইরিন আক্তার বিজয়ী হন।
  • সভাপতি পদে অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহেল রানা নির্বাচিত হন।
  • নির্বাচনে রাজনৈতিক দলীয় সমর্থন এবং সমঝোতার প্রভাব লক্ষণীয় ছিল।
  • জাকসু নির্বাচন এবং জুলাই আন্দোলনের ঘটনার প্রেক্ষিতে, নির্বাচন স্থগিত রাখার দাবি উঠেছিল।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।