জাতীয় ক্রিকেট লিগ

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম আধার জাতীয় ক্রিকেট লিগ (NCL)। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে যাত্রা শুরু হলেও প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা পায় ২০০০-০১ মৌসুম থেকে। বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা লাভের পর থেকেই এই লিগটি দেশের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

প্রাথমিকভাবে ৭টি আঞ্চলিক বিভাগ এবং ঢাকা মহানগরী - এই ৮টি দল নিয়ে লিগের আয়োজন করা হতো। ২০১১-১২ মৌসুম থেকে ৮টি দল নিয়ে লিগের প্রতিযোগিতা চলে আসছে। ২০০০-২০১৫ পর্যন্ত প্রতিটি দল অন্যান্য দলের সাথে একবার করে খেলে। কিন্তু ২০১৫-১৬ মৌসুম থেকে দুই স্তরে বিভক্ত হয়ে যায় লিগটি। প্রথম স্তরের শীর্ষ দল চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষিত হয়। প্রথম স্তরের নিম্নতম দল দ্বিতীয় স্তরে নামে এবং দ্বিতীয় স্তরের শীর্ষ দল প্রথম স্তরে উঠে আসে।

২০২৪-২৫ মৌসুমে আবার ৮ দলের একক রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে ফিরে এসেছে NCL। এই লিগের সাথে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে। যেমন, ২০১৫-১৬ মৌসুমে “Walton LED TV 17th National Cricket League” নামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং ২০১৯ সালে ওয়ালটন গ্রুপ তিন বছরের জন্য NCL-এর টাইটেল স্পন্সর হয়। ২০২৪-২৫ মৌসুমে “Modhumoti Bank 26th National Cricket League” নামে অনুষ্ঠিত হয়। একসময় একদিনের প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হলেও বর্তমানে তা আর নেই। তার বদলে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ আয়োজন করা হচ্ছে। জাতীয় ক্রিকেট লিগ বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৯৯-২০০০ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগের যাত্রা শুরু।
  • ২০০০-০১ সাল থেকে প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদা লাভ।
  • ২০১১-১২ সাল থেকে ৮টি দলের অংশগ্রহণ।
  • ২০১৫-১৬ সাল থেকে দুই স্তরে বিভক্ত, পরবর্তীতে আবার ৮ দলের একক পদ্ধতিতে ফিরেছে।
  • বিভিন্ন স্পন্সরের নামে লিগটি পরিচিত।
  • একদিনের প্রতিযোগিতা বাতিল হয়েছে।