জর্জিয়ার রাজনীতিতে ‘জর্জিয়ান ড্রিম’ নামক একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের উত্থান ও কার্যকলাপ ব্যাপক আলোচনার বিষয়। ২০১২ সালে বিদজিনা ইভানিশভিলির নেতৃত্বে গঠিত এই দলটি দেশটিতে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় আছে। ২০১৮ সালে সংবিধান সংশোধনের ফলে জর্জিয়ায় সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরিবর্তে ইলেক্টোরাল কলেজ ব্যবস্থা চালু হয়। ২০২৪ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়ান ড্রিম দল জয়লাভ করে। তবে বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে এবং তা ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করে। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি সালোমে জুরাবিশভিলিও নির্বাচনকে ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করেন এবং নিজেকে ‘একমাত্র বৈধ রাষ্ট্রপতি’ হিসেবে দাবি করেন। জর্জিয়ান ড্রিম দলের প্রার্থী মিখাইল কাভেলাশভিলি ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ২৯ ডিসেম্বর শপথ গ্রহণ করেন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিবলিসিতে ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হয়। জর্জিয়ার চারটি প্রধান বিরোধী দল কাভেলাশভিলিকে প্রত্যাখ্যান করে এবং পার্লামেন্ট বর্জন করে। জর্জিয়ান ড্রিম-এর উত্থান ও ক্ষমতায় অবস্থান, তাদের নির্বাচনী কৌশল এবং বিরোধী দলের প্রতিক্রিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে জর্জিয়ার সম্পর্ক এবং রাশিয়ার প্রভাব ইত্যাদি বিষয় জর্জিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জর্জিয়ান ড্রিম-এর ভবিষ্যৎ কার্যকলাপ এবং জর্জিয়ার রাজনৈতিক দৃশ্যের ওপর এর প্রভাব সময়ের সাথে সাথে আরও পরিষ্কার হবে।
জর্জিয়ান ড্রিম
আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১:১৬ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- জর্জিয়ান ড্রিম দল ২০১২ সালে গঠিত হয়।
- ২০২৪ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে জয়লাভ করে।
- বিরোধী দল নির্বাচনকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে।
- মিখাইল কাভেলাশভিলি ইলেক্টোরাল কলেজের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
- নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিবলিসিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।