জকিগঞ্জ, সিলেট: একটি বিস্তারিত আলোচনা
বাংলাদেশের সিলেট জেলার উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত জকিগঞ্জ উপজেলা দেশের সর্বোত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা। এটি ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত। ১৯৮৩ সালের ১লা আগস্ট জকিগঞ্জ থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।
ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন: জকিগঞ্জ উপজেলার আয়তন প্রায় ২৬৫.৬৮ বর্গকিলোমিটার। ২৪°৫১′ উত্তর অক্ষাংশ হতে ২৫°০০′ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°১৩′ পূর্ব দ্রাঘিমা হতে ৯২°৩০′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে এটি অবস্থিত। উত্তরে কানাইঘাট উপজেলা এবং ভারতের মেঘালয়, পূর্বে ও দক্ষিণে ভারতের আসাম, এবং পশ্চিমে বিয়ানীবাজার উপজেলা এর সীমান্তবর্তী। সুরমা ও কুশিয়ারা নদী এই উপজেলাকে সমৃদ্ধ করেছে।
জনসংখ্যা ও জনসংখ্যার ঘনত্ব: ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, জকিগঞ্জের জনসংখ্যা ছিল ২,৩৭,১৩৭ জন। পুরুষ ১,১৭,৩৫৪ এবং মহিলা ১,১৯,৭৮৩ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮৯০ জনের কাছাকাছি। ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী মুসলিম।
অর্থনীতি: জকিগঞ্জের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। কৃষিজমি ৬০% এর উপরে। ধান, সয়াবিন, এবং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি প্রধান ফসল। অকৃষিক্ষেত্রে ব্যবসা, পরিবহন, ও চাকরির উপর অনেকে নির্ভরশীল।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: উপজেলায় উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জকিগঞ্জ সরকারি কলেজ ও জকিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য।
স্বাস্থ্য: উপজেলায় একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।
ঐতিহাসিক ঘটনা: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জকিগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এপ্রিল মাসে পাকিস্তানি বাহিনীর আগ্রাসনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তীব্র যুদ্ধ হয়েছিল। ২১ এপ্রিল জকিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে।
দর্শনীয় স্থান: জকিগঞ্জের স্থলবন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান। এছাড়াও, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর মিলনস্থলও দর্শনীয়।
উপজেলার আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য পরবর্তীতে আপডেট করা হবে।