ছায়াছবি

চলচ্চিত্র: এক নজরে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ

চলচ্চিত্র বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও বিনোদনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবিষ্কৃত এই মাধ্যমটি দেশে প্রথম আবির্ভাব ঘটায় ১৮৯৬ সালে ৭ই জুলাই, মুম্বাইয়ের ওয়াটসন হোটেলে লুমিয়ের ভাইদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে। কলকাতা এবং পরবর্তীতে ঢাকায়ও এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। ১৯০১ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি কলকাতার ক্লাসিক থিয়েটারে হীরালাল সেন প্রথম বাংলায় চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন। ১৯১৩ সালে উপমহাদেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'রাজা হরিশচন্দ্র' মুক্তি পায়। ১৯১৯ সালে অবিভক্ত বাংলার প্রথম বাংলা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'বিল্বমঙ্গল' মুক্তি পেয়ে এক নতুন যুগের সূচনা করে। ১৯৩১ সালে কাজী নজরুল ইসলাম চলচ্চিত্রের সাথে জড়িত হন এবং 'ধ্রুব' ছবিতে অবদান রাখেন।

১৯৫৬ সালের ৩রা আগস্ট পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম সবাক বাংলা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'মুখ ও মুখোশ' মুক্তি পায়। ১৯৫৭ সালে 'পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা' (ইপিএফডিসি), বর্তমানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (এফডিসি) প্রতিষ্ঠিত হয় যা বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলচ্চিত্রের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। ১৯৯০ এর দশক থেকে ডিজিটাল প্রযুক্তি চলচ্চিত্র নির্মাণে আধিপত্য বিস্তার করে। বর্তমানে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের পাশাপাশি স্বল্পদৈর্ঘ্য, বিকল্প ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণও ব্যাপক জনপ্রিয়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, চলচ্চিত্র সংসদ, চলচ্চিত্র আর্কাইভ, চলচ্চিত্র উৎসব ও বিভিন্ন সংগঠন চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে বর্তমানে মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণ, প্রদর্শন ও দর্শকদের রুচি উন্নয়নে আরও ব্যাপক প্রচেষ্টার প্রয়োজন রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৮৯৬ সালে বাংলাদেশে প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শন
  • ১৯১৯ সালে প্রথম বাংলা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'বিল্বমঙ্গল'
  • ১৯৫৬ সালে প্রথম সবাক বাংলা চলচ্চিত্র 'মুখ ও মুখোশ'
  • ১৯৫৭ সালে এফডিসি প্রতিষ্ঠা
  • ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রে প্রভাব
  • বর্তমানে বিকল্প ধারার চলচ্চিত্রের বিকাশ

গণমাধ্যমে - ছায়াছবি

২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

ওবামা ২০২৪ সালের তার পছন্দের চলচ্চিত্রের তালিকা প্রকাশ করেছেন।

১ জানুয়ারী ২০২৪, ৬:০০ এএম

ওবামা তার প্রিয় চলচ্চিত্রের তালিকায় এই চলচ্চিত্রগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছেন।