শিক্ষার্থী: জাতির ভবিষ্যৎ
একজন শিক্ষার্থী কেবলমাত্র একজন ছাত্র নয়, সে জাতির ভবিষ্যৎ, দেশের উন্নয়নের চালিকাশক্তি। শিক্ষার্থীরা হলেন জ্ঞানের পিপাসু, নতুন কিছু শেখার আগ্রহে উদ্বেলিত তরুণ প্রজন্ম। তাদের জ্ঞানার্জন ও দক্ষতা বিকাশের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতি নির্ভর করে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সৃষ্টি করে, তবে এই ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। গ্রামীণ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়, যেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাব, যোগাযোগ ব্যবস্থার অসুবিধা ইত্যাদি। শহরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা অন্যদিকে অধিক সুযোগ পায়, তবে তাদেরও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। যেমন- প্রতিযোগিতার চাপ, শিক্ষা ব্যয়ের বোঝা ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন পর্যায় থেকে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব উঠে এসেছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস সহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি তাদের শিক্ষা জীবনের মধ্য দিয়ে সফলতার শিখরে পৌঁছেছেন। তাদের জীবনী শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণা স্বরূপ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ এবং সংস্থা কাজ করছে। যেমন: এনসিটিবি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, তথা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে জনগণের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন। শুধুমাত্র সরকারের প্রচেষ্টা পর্যাপ্ত নয়; জনগণের সচেতনতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
শেষ কথায় বলা যায়, শিক্ষার্থীরা জাতির মেরুদন্ড। তাদের শিক্ষা ও বিকাশ দেশের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। আমাদের সকলের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শ্রেষ্ঠ শিক্ষাব্যবস্থা গঠন করা এবং তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দান করা।