চৌহাট্টা

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:৪৭ এএম

চৌহাট্টা: সিলেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা

সিলেট নগরীর বুকে, রঙিন, ব্যস্ত ও জীবন্ত এলাকার মাঝখানে অবস্থিত একটি ছোট এলাকা হল চৌহাট্টা। এটি সিলেট মহানগরীর কোটোয়ালী থানার অন্তর্গত একটি ছোট এলাকা এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন। শহরাঞ্চল হিসেবে চৌহাট্টা একটি আধুনিক পরিবেশ উপস্থাপন করে এবং এটি ক্রমবর্ধমান সম্প্রদায়ের একটি স্থান।

চৌহাট্টা নয়াশারক রোড, ভিআইপি রোড এবং হযরত শাহজালাল রোড দ্বারা সংযুক্ত। এই সকল সড়ক চৌহাট্টা পয়েন্টে মিলিত হয় এবং এটি এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

চৌহাট্টা পয়েন্টে বাসস্ট্যান্ড রয়েছে যা মানুষকে সিলেট জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করার সুযোগ করে দেয়। হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার শরিফ চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত।

চৌহাট্টা এলাকায় বিভিন্ন শোরুম ও পরিষেবা কেন্দ্র রয়েছে। এলাকার আশেপাশে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক ও এটিএম বুথ রয়েছে, যেমন ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ইত্যাদি। এলাকায় কিছু জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক ব্র্যান্ডের শোরুম যেমন স্যামসাং, রিয়েলমি, ভিভো, সিঙ্গার, ভিশন, ইকো, এলজি, টোশিবা ইত্যাদি রয়েছে।

চৌহাট্টার অন্যতম উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো, মাঝারি থেকে মাঝে মাঝে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ থাকা সত্ত্বেও এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজাচ্ছন্ন এলাকা রয়েছে। যদিও এলাকায় অনেক উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য নেই, তবুও কিছু সাধারণভাবে স্বীকৃত স্থান রয়েছে। এর মধ্যে কিছু হল হযরত জালাল আহমদ (রঃ) মাজার, রেড ক্রিসেন্ট মাতৃত্ব হাসপাতাল ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, জেলা জজ আদালত, ভোলানন্দ রাসকুঞ্জ সেবামন্দল (আশ্রম), চৌহাট্টা টেনিস কোর্ট ইত্যাদি।

এলাকার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য শিক্ষা ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হল বাংলামাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। মনরু শপিং সিটি এলাকার একমাত্র বড় শপিং কমপ্লেক্স।

উল্লেখ্য যে, প্রদত্ত তথ্য থেকে সিলেটের চৌহাট্টার একটি সম্পূর্ণ ও বিস্তারিত নিবন্ধ রচনা করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে আরও তথ্য সংগ্রহ করে নিবন্ধটিকে আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব হবে।

চৌহাট্টা রেলওয়ে স্টেশন: পূর্ব রেলওয়ে জোনের হাওড়া রেলওয়ে বিভাগের অধীন আহমদপুর-কাটোয়া লাইনের একটি রেলওয়ে স্টেশন। এটি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় অবস্থিত। ১৯৬৬ সালে ভারতীয় রেলওয়ে ম্যাকলিওড অ্যান্ড কোম্পানির কাছ থেকে এই ন্যারো-গেজ রেলপথের পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। ২০১৩ সালে ট্র্যাকটি বন্ধ হলে ব্রডগেজে রূপান্তরিত হয়। ২৪ মে ২০১৮ জনসাধারণের জন্য পুনরায় উন্মুক্ত করা হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • সিলেট মহানগরীর কোটোয়ালী থানার একটি ছোট এলাকা
  • সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন
  • নয়াশারক রোড, ভিআইপি রোড এবং হযরত শাহজালাল রোড দ্বারা সংযুক্ত
  • হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার শরিফ এর কাছে অবস্থিত
  • বিভিন্ন ব্যাংক, এটিএম বুথ, শোরুম এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।