চুনারুঘাট: হবিগঞ্জের একটি ঐতিহাসিক ও প্রকৃতির কোলে অবস্থিত উপজেলা। ৪৯৫.৫০ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলার অবস্থান ২৪°০৪´ থেকে ২৪°১৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°২২´ থেকে ৯১°৩৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। উত্তরে হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবল, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা, পূর্বে শ্রীমঙ্গল ও ভারতের ত্রিপুরা, এবং পশ্চিমে মাধবপুর উপজেলায় ঘেরা। প্রাচীন ব্যবসা বন্দর হিসেবে এর সুনাম আছে। ৩০২,১১০ জনসংখ্যার এই উপজেলায় মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী বাস করেন। খাসিয়া ও মণিপুরী জনগোষ্ঠীও এখানে বসবাস করে। খোয়াই ও সুতাং নদী এই উপজেলার উল্লেখযোগ্য জলাশয়। ১৯১৪ সালে চুনারুঘাট থানা গঠিত হয়। ঐতিহাসিক দিক থেকে, রাজাপুরে ১৩০৪ সালে টিপরা রাজা আচকনারায়ণের রাজধানী ছিল এবং তিনি সুলতান ফিরুজ শাহের সেনাপতির সাথে যুদ্ধে পরাজিত হন। মুক্তিযুদ্ধে রেমা চা-বাগান, নলুয়া চা-বাগান, কালেঙ্গা বনাঞ্চল, হরিণমায়া ও নালমুখ রাজার যুদ্ধসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নলুয়া চা-বাগানে একটি বধ্যভূমি এবং উপজেলায় একটি স্মৃতিসৌধ রয়েছে। চুনারুঘাটে ৩৩৮টি মসজিদ, ২৯টি মন্দির, এবং ৫টি মাজার রয়েছে। শিক্ষার হার ৪০.৮%, যার মধ্যে পুরুষ ৪৩.৩% এবং মহিলা ৩৮.৪%। দক্ষিণাচরণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৮), গাবতলা দাখিল মাদ্রাসা (১৯৩৩) প্রমুখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য। চা, ধান এর প্রধান রপ্তানিদ্রব্য। চানপুর ও চন্ডীছড়া চা বাগান দর্শনীয় স্থান। উপজেলার অর্থনীতিতে কৃষি, অকৃষি শ্রমিক, ব্যবসা, চাকরি প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চুনারুঘাট
মূল তথ্যাবলী:
- চুনারুঘাট হবিগঞ্জের একটি ঐতিহাসিক উপজেলা
- প্রাচীন ব্যবসা বন্দর হিসেবে পরিচিত
- মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে
- খোয়াই ও সুতাং নদী এখানে অবস্থিত
- চা ও ধান এর প্রধান রপ্তানিদ্রব্য