চিন্ময় কৃষ্ণ দাস: বাংলাদেশের একজন বিতর্কিত হিন্দু নেতা ও ধর্মগুরু
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (পূর্বে চন্দন কুমার ধর) বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অবস্থিত পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তার পূর্ব জীবনে তিনি ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
২০২৪ সালের ২৫শে নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাতীয় পতাকার উপরে গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়। এই গ্রেফতারের পর তার অনুসারীদের বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে, যার ফলে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর আইনজীবী সমাজ ও বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদে নামে এবং ইসকনের নিষিদ্ধের দাবি জানায়।
চিন্ময়ের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগও উঠেছে। ২০২৩ সালের ৬ই অক্টোবর ইসকন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক শিশু সুরক্ষা কার্যালয় (সিপিটি) তার উপর ৫টি নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এছাড়াও চট্টগ্রামের হাজারীগলিতে সেনা ও পুলিশ সদস্যদের উপর এসিড হামলার সাথে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের মালিকানাধীন পুকুর দখলের অভিযোগও রয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ইসকন তাকে বহিষ্কার করে। চিন্ময়ের গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে ভারত সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বাংলাদেশ সরকারকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ভারতের বক্তব্যকে 'ভিত্তিহীন' বলে উল্লেখ করেছে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জীবন ও কর্মকাণ্ড বিতর্কিত, এবং তার কাজের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণের প্রয়োজন।