গ্রিন মডেল টাউন

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪০ পিএম

ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত ডেমরা ও মুগদা থানার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত একটি বিতর্কিত আবাসিক প্রকল্প হল গ্রিন মডেল টাউন। আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (এএমএলডিএল) কর্তৃক নির্মিত এই প্রকল্পটি মূলত মন্দা এলাকায় অবস্থিত এবং ৭১, ৭২ ও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে বিস্তৃত।

২০০৫ সালে অবৈধ ব্যবসায়িক কার্যকলাপ এবং জমি দখলের অভিযোগে এই প্রকল্প,সহ অন্যান্য প্রকল্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। ২০০১১ সালের জুন মাসে হাইকোর্ট ৭৭টি আবাসিক উন্নয়ন উদ্যোগকে অবৈধ ঘোষণা করে, যার মধ্যে গ্রিন মডেল টাউনও ছিল। তবে, ২০০১২ সালে আবাসন ও গৃহ নির্মাণ মন্ত্রণালয় থেকে এটি অনুমোদন পায়।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর ও জুলাই মাসে মশা প্রজননে অবহেলা করার অপরাধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কোম্পানিকে মোট ৩৩৯,০০০ টাকা জরিমানা করে।

গ্রিন মডেল টাউন ২৩°৪৩′৪২″N ৯০°২৭′০৬″E অক্ষাংশে অবস্থিত। এর দক্ষিণে মাতুয়াই ল্যান্ডফিল এবং বর্জ্য শোধনাগার, এবং পশ্চিমে মন্দা খাল অবস্থিত। খালের উপর স্তম্ভের উপর নির্মিত ঘরবাড়ি এবং খালের মাঝখানেও ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

গ্রিন মডেল টাউনের কাছে একটি জলাভূমির আশেপাশে সাপ্তাহিক ছুটিতে অত্যধিক জনসমাগম হয়, যা স্থানীয়রা “মিনি কক্সবাজার” নামে অভিহিত করে। এই এলাকায় শিশুদের খেলার মাঠ, মিনি উদ্যান, মেলা এবং রেস্টুরেন্ট, এবং মাঝে মাঝে কায়াকিং সুবিধাও দেখা যায়।

এই প্রকল্প জালিয়াতি ও পরিবেশগত ক্ষতির অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে। খাল ও জলাশয় ভরাট, অবৈধ জমি দখল, এবং জাল নথিতে প্লট বিক্রয়ের অভিযোগ রয়েছে। বাসিন্দাদের প্রতিবাদ এবং হাইকোর্টের আদেশ সত্ত্বেও, প্রকল্পের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি রাজউক। বাসিন্দারা তাদের জমি হারানোর এবং প্রকল্পের কার্যকলাপের কারণে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার অভিযোগ করেছেন। এই প্রকল্প অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছে এবং জলাভূমি, বন্যাপ্রবণ এলাকা, কৃষিজমি ও গ্রামীণ আবাসস্থল ধ্বংস করেছে, যা ২০০৪ সালের ব্যক্তিগত আবাসন উন্নয়ন আইন এবং বিস্তারিত এলাকা পরিকল্পনার শর্তাবলী লঙ্ঘন করেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের একটি আবাসিক প্রকল্প
  • ঢাকার ডেমরা ও মুগদা থানার সীমান্তে অবস্থিত
  • অবৈধ জমি দখল ও পরিবেশগত ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে
  • হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল, পরে অনুমোদন পেয়েছে
  • মশা প্রজননের জন্য জরিমানা করা হয়েছে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।