মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে নিহত হয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী চা শ্রমিক গোপাল বাগতি। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো লাইন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত গোপাল বাগতি বড়লেখা উপজেলার নিউ সমনবাগ চা বাগানের মোকাম সেকশনের সাবেক ইউপি সদস্য অকিল বাগতির ছেলে ছিলেন। শনিবার পাহাড় থেকে বাঁশ আনতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। স্বজনদের অভিযোগ, অসাবধানতাবশত সীমান্তের কাছে গেলে বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনাস্থলে গোপালের সাথে আরও কয়েকজন শ্রমিক ছিলেন, যারা গুলির আওয়াজে পালিয়ে গেছেন। শনিবার সকালে গোপালসহ কয়েকজন শ্রমিক পাথারিয়া পাহাড়ের জঙ্গলে বাঁশ কাটতে যান এবং গোপাল রাত পর্যন্ত বাড়ি ফেরেননি। পরদিন ভোরে স্থানীয়রা লাশের খবর পেয়ে বিজিবি এবং পুলিশের সাহায্যে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরে গুলির আঘাতের চিহ্ন ছিল। স্থানীয় সূত্র ও দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ইমরান আহমদের বক্তব্য থেকে জানা যায়, বিএসএফ-এর গুলিতে গোপাল নিহত হয়েছেন এবং সাথে থাকা অন্যান্য শ্রমিকরা ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি। বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মেহেদী হাসান জানান, সীমান্ত পিলার ১৩৯১/২-এস এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। বড়লেখা থানার ওসি মো: আবদুল কাইয়ূম জানান দুর্গম এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং সুরতহাল শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
গোপাল বাগতি
মূল তথ্যাবলী:
- ৩৬ বছর বয়সী চা শ্রমিক গোপাল বাগতি বিএসএফের গুলিতে নিহত
- মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ঘটনাটি ঘটেছে
- শনিবার পাহাড় থেকে বাঁশ আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন
- রোববার সীমান্তের জিরো লাইন থেকে লাশ উদ্ধার
- স্বজনদের অভিযোগ, বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে
গণমাধ্যমে - গোপাল বাগতি
গোপাল বাগতি পাহাড় থেকে বাঁশ আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ।
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
গোপাল বাগতি (বা বাক্তি) নামে এক চা শ্রমিক পাহাড় থেকে বাঁশ আনতে গিয়ে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ।