গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী: বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ যিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। তিনি একজন প্রাক্তন সংসদ সদস্য এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন:

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর জন্ম, বয়স এবং পারিবারিক তথ্য প্রদত্ত পাঠ্যে উল্লেখ নেই। তবে, জানা যায় যে, তার পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তানের সংসদের স্পিকার ছিলেন। তার ভাই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হন এবং সংসদ সদস্য ছিলেন। সালমান এফ রহমান তার খালাতো ভাই। গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে সামির কাদের চৌধুরী।

রাজনৈতিক জীবন:

তিনি ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন এবং ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। আগস্ট ২০১০ পর্যন্ত তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন এবং চট্টগ্রাম জেলা (উত্তর) শাখার সাবেক সভাপতি। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার ছেলে সামির কাদের চৌধুরী প্রার্থীতা করার চেষ্টা করলেও নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থীতা বাতিল করে।

ব্যবসায়িক কার্যকলাপ:

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী কিউসি কনটেইনার লাইন লিমিটেড এবং কিউসি শিপিং লিমিটেড ও ডাকা ডাইংয়ের পরিচালক ছিলেন। উভয়টি তাদের পরিবারের মালিকানাধীন সংস্থা।

আরো তথ্য:

তার উপর বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুমকি দেওয়া, গাড়ি ভাঙচুর, এবং অবমাননাকর মন্তব্য করা অন্যতম। ৩০ অক্টোবর ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। তিনি বিএনপি থেকে শোকজ নোটিশও পেয়েছেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বাংলাদেশের একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ।
  • তিনি বিএনপির সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন এবং সংসদ সদস্য ছিলেন।
  • তিনি চট্টগ্রামের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
  • তার পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তানের সংসদের স্পিকার ছিলেন।
  • তার ভাই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হন।

গণমাধ্যমে - গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী

রাউজানে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে ভোট ডাকাতি ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন।