খাস জমি বলতে বোঝায় যেসব জমি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন নয় এবং সরকারের অধীনে রয়েছে। বাংলাদেশে, খাস জমি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকারি উন্নয়নমূলক কর্মসূচীতে ব্যবহৃত হয়, যেমন কৃষি, গ্রামীণ উন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ ইত্যাদি। তবে, সরকার খাস জমি ভূমিহীনদের নিকট বন্দোবস্তও করে থাকে।
খাস জমির বন্দোবস্ত প্রক্রিয়াটি জটিল এবং বেশ কিছু ধাপে সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়ায় জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন, ভূমি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ, এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থা জড়িত। প্রথমে, একজন ভূমিহীন ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের কাছে খাস জমির বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করেন। তারপর, আবেদনের যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রকাশ্য সভা আয়োজন করা হয়। আবেদনকারী যদি যোগ্য বলে বিবেচিত হন, তাহলে জেলা প্রশাসকের অনুমোদনের পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কবুলিয়ত সম্পাদন করেন, এবং সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমে দলিল রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বেশ সময়সাপেক্ষ এবং বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার অনুমোদনের উপর নির্ভর করে।
খাস জমির প্রকারভেদ ও ব্যবহার: খাস জমি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। নদীভাঙন, সরকারী অধিগ্রহণ, অন্যান্য কারণে সৃষ্ট জমি খাস জমিতে পরিণত হয়। কৃষি, অকৃষি দুই ধরণের জমিই খাস জমিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এই জমিগুলিকে সরকার উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ব্যবহার করতে পারে অথবা ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত করে দিতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ, ব্যক্তি, ও সংস্থা: খাস জমির প্রক্রিয়াটির সাথে বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা এবং সংস্থা জড়িত, যেমন জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ইত্যাদি। বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা, যেমন ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়াল, ১৯৯০ এবং অকৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা, ১৯৯৫, এই প্রক্রিয়াটি শাসন করে।
যদি আপনার খাস জমি সম্পর্কে আরও নির্দিষ্ট তথ্য প্রয়োজন হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করুন।