বাংলা চলচ্চিত্রের খলনায়কেরা: এক নজরে
বাংলা চলচ্চিত্রে অনেক নায়কের চেয়েও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অনেক খলনায়ক। তাদের অভিনয় দক্ষতা, চরিত্রের গভীরতা, এবং দর্শকের মনে স্থায়ী ছাপ রাখার ক্ষমতার কারণেই তারা এত জনপ্রিয়। এই লেখায় আমরা বাংলা চলচ্চিত্রের কয়েকজন বিখ্যাত খলনায়কের ক্যারিয়ারের ওপর আলোকপাত করবো।
রাজীব: প্রথমে নায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু করলেও, ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ ছবির মাধ্যমে খলনায়ক হিসেবে তিনি অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন। তার ভরাট কণ্ঠ, দৈহিক গঠন, এবং ভয়ঙ্কর অঙ্গভঙ্গি তাকে অনন্য খলনায়ক করে তুলেছিল। চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
খলিল: প্রায় ৮০০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন খলিল। ‘সোনার কাজল’ ছবি দিয়ে নায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও, ‘বেগানা’ ছবির মাধ্যমে খলনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। দীর্ঘ ৫০ বছরের অভিনয় জীবনে তিনি দর্শকদের কাছে ‘খল খলিল’ নামে পরিচিত হয়েছিলেন। তিনি ২০১২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা পান।
সাদেক বাচ্চু: ১৯৮৫ সালে ‘রামের সুমতি’ দিয়ে নায়ক হিসেবে অভিষেক হলেও, পরবর্তীতে খলনায়ক হিসেবে ব্যাপক সাফল্য পান। প্রায় ৫০০ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ২০১৮ সালে ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবিতে খলচরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
বাবর: ৭০-এর দশকে নায়ক হিসেবে ‘বাংলার মুখ’ ছবিতে অভিনয় করেন। কিন্তু ‘রংবাজ’ ছবির মাধ্যমে খলনায়ক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন এবং প্রায় ৩০০ সিনেমায় খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন।
মিশা সওদাগর: ১৯৮৯ সালে ‘চেতনা’ ছবি দিয়ে নায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু করলেও, ‘আশা ভালোবাসা’ ছবির মাধ্যমে খলনায়ক হিসেবে সফল হন। প্রায় ৯০০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেছেন।
ওমর সানী: ১৯৯২ সালে ‘এই নিয়ে সংসার’ ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক হলেও, ‘ওরা দালাল’ ছবিতে খলনায়ক হিসেবে অভিনয় করে দর্শকদের মনে স্থায়ী স্থান করে নেন।
উল্লেখ্য, এই তালিকা সম্পূর্ণ নয়। আরও অনেক প্রতিভাবান খলনায়ক বাংলা চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করেছেন।