খয়রাত হোসেন (১৪ নভেম্বর, ১৯০৯ - ১০ মার্চ, ১৯৭২) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তিনি নীলফামারী জেলার সোনারাই ইউনিয়নের বেড়াকুঠি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩০ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজের ছাত্র সংসদের প্রথম মুসলিম ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, যা তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা বলে বিবেচিত হতে পারে। ১৯৪৪ সালে নীলফামারী অঞ্চল থেকে তিনি এমএলএ নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের খাদ্য, মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আড়াই বছর এই পদে অবস্থান করেন। ১৯৫২ সালে পাকিস্তান অবজারভার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের আইনসভায় আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন, যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিন এবং স্পীকারের বিরোধিতার মুখে প্রত্যাখ্যাত হয়। ১৯৭১ সালে তিনি দুর্দষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। নীলফামারীতে তার স্মৃতি রক্ষার্থে খয়রাত হোসেন মার্কেট, খয়রাত হোসেন সড়ক এবং খয়রাত নগর রেলওয়ে স্টেশন নামকরণ করা হয়েছে। তার জীবন ও কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
খয়রাত হোসেন
মূল তথ্যাবলী:
- খয়রাত হোসেন ১৯০৯ সালে নীলফামারীতে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি ১৯৩০ সালে কারমাইকেল কলেজের প্রথম মুসলিম ভিপি নির্বাচিত হন।
- ১৯৪৪ সালে তিনি নীলফামারী থেকে এমএলএ নির্বাচিত হন।
- ১৯৫৫ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- ১৯৭২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।