কোয়েটা

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:১৮ পিএম
নামান্তরে:
Quetta
Queeta
Quetta, Pakistan
কুয়েটা
কোয়েটা

কোয়েটা: পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের রাজধানী

কোয়েটা (উর্দু: کوئٹہ, পশতু: کوټه, বেলুচি: کویته) পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬৮০ মিটার (৫৫১০ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত এই শহরটি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ শহরগুলির একটি। 'ফলের বাগান' নামে খ্যাত কোয়েটা নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য একসময় 'খুদে প্যারিস' হিসাবে পরিচিত ছিল। পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে, কোয়েটা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।

ইতিহাস: ধারণা করা হয় কাসি উপজাতিরা কোয়েটার প্রাচীনতম বাসিন্দা। গজনির সুলতান মাহমুদের আক্রমণ ও বিজয় কোয়েটার ইতিহাসের প্রাচীনতম লিখিত ঘটনা। ১৮৮৬ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে আসে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ব্রিটিশরা এখানে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে। ১৯৩৫ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে শহরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং প্রায় ৪০,০০০ মানুষ নিহত হয়। ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়, কোয়েটা মুসলিম লীগকে সমর্থন করে এবং পাকিস্তান আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাকিস্তানের সৃষ্টির পর, কোয়েটা বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

জনসংখ্যা ও জাতিগত বৈচিত্র্য: কোয়েটার আনুমানিক জনসংখ্যা ২০ লক্ষ। শহরটি পশতুন, বেলুচ, হাজারা, ব্রাহুই, পাঞ্জাবি ও মুহাজিরসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের আবাসস্থল। উর্দু ভাষা এখানকার লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হাজারা সম্প্রদায়ের প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ লোক কোয়েটা এবং এর আশেপাশে বসবাস করে।

অর্থনীতি ও পরিকাঠামো: কোয়েটা পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। এর অর্থনীতিতে কৃষিকাজ, ফলের উৎপাদন (আপেল, আঙ্গুর), এবং বাণিজ্যের প্রাধান্য। কোয়েটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনসহ উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার অধিকারী।

সংস্কৃতি ও খেলাধুলা: কোয়েটা বেলুচিস্তানের শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র। ফুটবল এখানকার জনপ্রিয় খেলা। ক্রিকেট ও বক্সিংও জনপ্রিয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার ও ঐতিহাসিক স্থান কোয়েটার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে।

আমরা কোয়েটা সম্পর্কে আরও তথ্য যোগ করবো যখন তা উপলব্ধ হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • কোয়েটা পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী।
  • সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬৮০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
  • ফলের উৎপাদন ও বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত।
  • পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত।
  • ১৯৩৫ সালের ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • পশতুন, বেলুচ, হাজারা, ব্রাহুইসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।