কোম: ইরানের একটি পবিত্র ও ঐতিহাসিক নগরী
ইরানের কোম প্রদেশের রাজধানী কোম শহর, শিয়া মুসলিমদের কাছে একটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান। ইমাম রেজার বোন, ফাতিমা মাসুমার দরগাহ এখানে অবস্থিত, যা প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রীকে আকর্ষণ করে।
তেহরান থেকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই শহরটি একটি নিম্ন সমভূমিতে অবস্থান করছে এবং কোম নদীর তীরে বিস্তৃত। ২০১৬ সালের আদমশুমারীর তথ্য অনুযায়ী, কোমের জনসংখ্যা প্রায় ১২,০১,১৫৮ জন।
ঐতিহাসিক দিক থেকে, কোমের ইতিহাস খুবই সমৃদ্ধ। পুরাতাত্ত্বিক উৎখননের মাধ্যমে এখানে খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ ও প্রথম সহস্রাব্দে মানব বসতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। সাসানীয় আমলে কোম ছোট আকারের একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করতো বলে ধারণা করা হয়। আরবদের আগমনের পরে ধীরে ধীরে এটি শিয়া ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়।
ধর্মীয় শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে কোমের খ্যাতি বিশ্বব্যাপী। ‘হাউজায়ে এলমিয়ে কোম’ ইরানের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করে।
কোমের অর্থনীতি মূলত ধর্মীয় পর্যটন, শিল্প এবং পেট্রোলিয়াম শিল্পের উপর নির্ভরশীল। এখানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রও রয়েছে, যা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
কোমের জলবায়ু গরম মরু জলবায়ু, তবে শীতকালে কখনও কখনও তুষারপাতও হয়। শহরের প্রশাসন একটি নির্বাচিত পৌরসভা দ্বারা পরিচালিত হয়। বর্তমান মেয়র হলেন মোহাম্মদ দেলবারি।
কোম তার ধর্মীয় গুরুত্ব, সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং জটিল স্থাপত্যের জন্য পরিচিত। শহরটিতে ফাতিমা মাসুমার দরগাহ ছাড়াও অনেক ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা রয়েছে। তবে কোমের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আরও তথ্য যুক্ত করে এই প্রবন্ধকে সম্পূর্ণ করতে পারব।