চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী: একজন বিতর্কিত হিন্দু নেতা
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (পূর্ব নাম: চন্দন কুমার ধর) বাংলাদেশের একজন বিতর্কিত হিন্দু নেতা ও ধর্মগুরু। তিনি বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং রাষ্ট্রদ্রোহ, সাম্প্রদায়িক উস্কানি এবং শিশু নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছেন। তার জীবনীতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও তথ্য উল্লেখযোগ্য:
প্রাথমিক জীবন ও ইসকনের সাথে সম্পর্ক:
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পূর্ব নাম ছিল চন্দন কুমার ধর। তিনি ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ)-এর সাথে যুক্ত ছিলেন এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে পরবর্তীতে শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ও অন্যান্য সাংগঠনিক অনিয়মের কারণে ২০২৪ সালের জুলাইতে ইসকন তাকে বহিষ্কার করে।
সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড:
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং মুখপাত্র ছিলেন। এই মঞ্চের মাধ্যমে তিনি হিন্দুদের অধিকার রক্ষা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার বিষয়ে কাজ করেছেন বলে দাবি করেছিলেন। তবে তার বক্তৃতা ও কর্মকাণ্ড প্রায়শই উস্কানিমূলক ও বিতর্কিত ছিল।
গ্রেপ্তার ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ:
২০২৪ সালের ২৫শে নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাতীয় পতাকার উপরে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন এবং রাষ্ট্রদ্রোহের মতো অভিযোগ তাকে গ্রেপ্তারের কারণ। তার গ্রেফতারের পর তার অনুসারীদের পক্ষ থেকে হিংসাত্মক বিক্ষোভ হয়, যাতে এক আইনজীবীর মৃত্যু ঘটে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া:
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার এবং তার অনুসারীদের উপর হামলার ঘটনায় ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং বাংলাদেশ সরকারকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়।
অন্যান্য অভিযোগ:
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামে পুকুর দখল, এসিড হামলা, শিশুদের যৌন নিপীড়ন এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টার মতো অভিযোগও রয়েছে।
উল্লেখ্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্যগুলি সংবাদমাধ্যম ও জনসাধারণের সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর নির্ভরশীল। এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন। আরও তথ্য পাওয়ার পরে এই প্রতিবেদন আপডেট করা হবে।